------
ঢাকায় একটি বায়িং হাউজে চাকরি করেন মোরশেদ আলম নামে এক তরুণ। চাকরি সূত্রে থাকেন ঢাকার উত্তরায়। সখের বসে ২০১৮ সাল থেকে শুরু করেন ছাঁদ কৃষি। বাড়ির মালিকের অনুমতি নিয়ে মোরশেদ আলম ছাঁদ কৃষি শুরু করেন। প্রথমদিকে সামান্য পরিমাণে শুরু করলেও। বর্তমানে তার ছাঁদ কৃষিতে যুক্ত হয়েছে প্রায় ৩০ প্রজাতির ফল,ফুল ও শাক-সবজির গাছ। আমরা সাধারণ ফ্রী সময় পেলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ডুব দেই। এদিক থেকে মোরশেদ আলম ব্যতিক্রম। তিনি অফিসের ডিউটি শেষ করে তার অবসর সময় কাটান ছাঁদ বাগানে। ছাঁদ কৃষি নিয়ে জানতে চাইলে মোরশেদ আলম বলেন- "আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে কৃষি ও কৃষি জমি। আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাচ্ছে কৃষি জমি।যার অন্যতম প্রধান কারণ অপরিকল্পিত নগরায়ন। যার নেতিবাচক প্রভাব সরাসরি পরছে পরিবেশের উপর। বিশেষ করে শহরগুলোতে মাটির অস্তিত্ব দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে খোলামেলা জায়গা। যা সরাসরি মানবজীবনকে আঘাত করছে। মূলত অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়নের ফলে পরিবেশ দূষণ ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি মানুষ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে পরিবেশ। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে ছাদ কৃষি। শহরের ৬০ শতাংশ জায়গা দখল করে আছে ফাঁকা ছাদ,যা তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সহায়ক। এমন পরিস্থিতিতে শহরকে বসবাসের উপযোগী করে তুলতে ছাদের ফাঁকা জায়গায় গাছ লাগানো ও ছাদ কৃষির বিকল্প নেই। আমি মূলত এই চিন্তা থেকেই ছাঁদ কৃষি শুরু করি। অফিস শেষ করে ক্লান্ত শরীরে কাজ করা কষ্টকর তারপর ও এক প্রকার শান্তি পাওয়া যায়। তাছাড়া বর্তমানে শহরগুলোতে কেমিক্যাল মুক্ত তাজা ফলমূল পাওয়া যায় না। এই ছাঁদ কৃষি করে আমি যেমন নিজে তাজা ফলমূল খেতে পারছি।অন্যদিকে আত্মীয়স্বজন,সহকর্মীদেরকেও কেমিক্যাল মুক্ত তাজা ফলমূল দিতে সক্ষম হচ্ছি।"
লেখাঃ হাসান মাহমুদ শুভ
কবি, কলামিস্ট ও ফিচার লেখক।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০