প্রিয়াংকা পিংক :

বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু সংলগ্ন মেঘনা নদীর পাড়ে প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ ভৈরব এর উদ্যোগে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ বৈশাখী মেলা উদযাপন করা হয়। ভৈরববাসীর কাছে স্থানটির একটি বিশেষ তাৎপর্য আছে। আজ ‘বন্ধুত্ব দৃঢ় হোক সহযোগিতার বন্ধনে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে The invincibile 9/11 পরিবার কিশোরগঞ্জের ভৈরবের সেই বিখ্যাত স্থান মেঘনা নদীর পাড়ে এক মিলনমেলার আয়োজন করে।পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী ৯/১১ পরিবারের অন্যতম সদস্য আশিক রহমানের নেতৃত্বে বিকাল ৩টায় মিলনমেলার প্রাথমিক পর্ব শুরু হয়। সময় বাড়ার সাথে সাথে বন্ধুদের সমাগমও বাড়তে থাকে। প্রথমে আশিকের সাথে সোহেলের দেখা হয়। রায়পুরা থেকে যোগ দেয় বন্ধু আলমগীর ও সজল। পরক্ষণেই চলে আসে ভৈরব বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাজিব ও রমজান। আড্ডা জমতে থাকে পাথরের উপর বসে। মকবুল গ্রুপের বন্ধুত্বের টানে চলে আসে বেলাব থেকে। একে একে সাদ্দাম, আশিক (২), জুনায়েদ, রিংকন, নুরু, রিয়াদ, মেহেদী, মুরাদ সহ আরো অনেকের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠে চারপাশের মনোরম পরিবেশ। ফটোসেশন এর সময় আশপাশের দর্শনার্থীদের নজর ছিল ৯/১১ এর দিকে। আড্ডায় The invincibile 9/11 Bikers দের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। ফটোসেশন এর পর চায়ের আড্ডা ও সবার ক্যারিয়ারে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। চায়ের আড্ডার ফাঁকে আশিক ব্যাচের বন্ধু মোর্শেদার ছেলে মুরসানের সাহায্যর বিষয়টি সবার নজরে আনেন। সবাই যার যার অবস্থান থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে আসে, আড্ডা যেন থামছেই না। খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থাকায় বন্ধুরা সবাই মিলে বড় পর্দার উপভোগ করার জন্য শহীদ আইভী রহমান স্টেডিয়াম চলে যান। ঝমকালো অনুষ্ঠান ৯/১১ পরিবার একসাথে উপভোগ করে। পরবর্তীতে ভৈরবে সবাইকে নিয়ে আরো বড় পরিসরে মিলনমেলা আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আশিক আড্ডার পরিসমাপ্তি ঘটায়।জয়তু দি ইনভিন্সিবল ৯/১১❤️