বাবা ছাড়া পৃথিবীর সকল কিছুই অর্থহীন
প্রতিটি বাবাই যেনো প্রতিটি সন্তানের জীবনের একটি বাড়ির পিলারের মতো।ঠিক তেমনি আমার বাবা আমার স্বপ্ন নামক বাড়িটার পিলারের মতো ।যাকে ছাড়া এই জীবনের সকল পদক্ষেপ থাকতো অর্থহীন।বাবা আমাকে আদর করে আম্মু বলে ডাকেন ,যখন বাসায় আসে প্রথমেই জিজ্ঞেস করে আমার আম্মু টার কি খবর ! শুনতেই ভীষণ অবাক লাগে হাজার ব্যস্ততার মাঝেও তিনি কখনো আমার খোঁজ নিতে ভুলেন নি । পছন্দের জামা কিনা থেকেও খুশি লেগেছিলো সেই মূহুর্তটি যেদিন আমি ব্যর্থ হয়েছিলাম কিন্তু বাবা শক্ত পিলারের মতো আমার স্বপ্নকে আগলে ধরে রেখেছিলো, অনুপ্রেরণা দিতো। কখনো কখনো মন খারাপ হলে সফলতার গল্প শুনাতেন ।এই জগতে আসলে বাবার মতো নিঃস্বার্থ ভালোবাসা কেউ দিতে পারবে না ।আজ আমার সকল সফলতা একমাত্র প্রাপ্য আমার বাবা । বিশ্ব বাবা দিবস উপলক্ষে বিশ্বের সকল বাবাকে জানাই সম্মান আর শ্রদ্ধা। বেঁচে থাকুক আর মধুর হোক পিতা – সন্তানের সম্পর্ক।
মাইশা ফাহমিদা ইসলাম
শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ।
বাবা শব্দটির দায়িত্ব অনেক বড়
বাবা শব্দটি যতটা ছোট এই সম্পর্কের দায়িত্ব আর ভালোবাসা তার থেকে হাজার গুনে বড়।১৬ই জুন বিশ্ব বাবা দিবস। জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বের প্রায় ৭৪ টি দেশে বাবা দিবস পালিত হয়।এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বিশ্বস্ত হাতের অধিকারী বাবা ছাড়া আর কেউ না। বাবা হলো বট গাছের ছায়ার মত, যে ছায়া তলে থেকে সন্তানের সারাজীবন অনায়াসে কেটে যায়।যতই কষ্ট হোক, সন্তানের সুখের জন্য কষ্টগুলো বুকে চেপে হাসিমুখে নিঃস্বার্থভাবে পূরণ করেন সন্তানের আবদার।বাবাদের সবচেয়ে বড় গুন হলো পকেট খালি থাকলেও সন্তানকে হতাশ করেন না কখনো। পৃথিবী বদলে গেলেও বাবার ভালোবাসা কোনোদিনও বদলায় না। তাইতো বাবা হলো আল্লাহর দেওয়া সবচেয়ে সুন্দর রহমত। এই বিশেষ দিনে সকল বাবাদের জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। ভালো থাকুক সকল বাবারা। প্রতিটি দিন হয়ে ওঠোক বাবা দিবস।
সোহানা চৌধুরী
শিক্ষার্থী, দর্শন বিভাগ।
অনুভূতির রাজা হলেন বাবা
আমি পরিবারের তৃতীয় সন্তান। তাও আবার মেয়ে। আমার জন্মের আগে সবাই ভেবেছিলো ছেলে হয়ে জন্মাবো। আমার মেয়ে হয়ে জন্মানোতে কার কেমন অনুভূতি হয়েছিলো জানিনা; তবে মায়ের মুখে শুনেছি- ঈদের আগের দিন জন্ম হওয়ায় আমার বাবার কাছে ঈদের চাঁদ হয়েই ধরা দিয়েছিলাম আমি। চাঁদরাতে চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো আনন্দেই ভেসেছিলেন আমার বাবা।
জন্মের পর থেকেই সত্যিকারের প্রিন্সেস ট্রিটমেন্টটা শুধু বাবার কাছেই পেয়েছি। যেখানে কন্যা সন্তানদের অবহেলার চোখে দেখা হয়, সেখানে আমার বাবার দুচোখ জুড়ে শুধু আমাকে নিয়ে গর্ব করারই স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সমাজের সব বাধা ঠেলে বাবা আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। ডক্টর না দেখিয়ে, ঔষধ না কিনে আগে আমার স্বপ্নের পেছনে টাকা ব্যয় করেছেন তিনি। কখনো বলা হয়নি- বাবা, তোমাকে অনেক ভালোবাসি; তোমার স্বপ্ন চোখে নিয়েই বাঁচি।
রোকসানা আক্তার
শিক্ষার্থী, ইতিহাস বিভাগ।
বাবা দিবসে আমার আব্বুকে নিয়ে অপ্রকাশিত কিছু অনুভূতি!
সন্তানদের বেড়ে উঠার প্রতিটি দিন,প্রতিটি অধ্যায়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বাবা।বাবাদের কথা উঠলেই মাথায় আসে শত ত্যাগ স্বীকার করা নিঃস্বার্থ এক মানুষের কথা। বাবা এক অনুভূতির নাম যা কেবল তারাই বুঝেন, যারা বুঝেছেন বাবা থাকা আর না থাকার পার্থক্য। কিন্তু এতটুকুই কি বাবাদের পরিচয়?
আমার আব্বুকে নিয়ে আজকে কিছু কথা শেয়ার করবো।
আব্বুকে নিয়ে কাওকে কিছু বলতে গেলে সবার আগে আমার একটা কথাই মনে হয় সেটা হলো আব্বুর”পরিশ্রম”। ছোট থেকেই দেখতাম আব্বু খুব পরিশ্রম করে আমাদের বড় করেছেন। তিনি অভাবের মধ্য দিয়ে গেলেও কখনো আমাদের তা বুঝতে দেয়নি।আমাদের সকল চাহিদা তিনি পূরণ করার চেষ্টা করেন।কিন্তু আমাদের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে তিনি নিজের দিকেই খেয়াল রাখেন না।আব্বুকে কখনো দেখিনি অনেক দামী পোশাক পড়ে বিলাসিতা করতে,বরং তিনি শুধু আমাদের সুখ,শান্তি,বিলাসিতার দিকেই খেয়াল রাখেন।তিনি যখন অসুস্থ হয়ে পড়েন,তখন আমাদের পুরো দুনিয়াটাই অন্ধকার লাগে,মনে হয় আব্বু না থাকলেই তো আমরা অচল।তিনি তার অপ্রকাশিত ভালোবাসা,অসীম ত্যাগ,অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমেই আমাদের সচল করে রেখেছেন।আসলে বাবারা এমনই হয়!
আজ বাবা দিবসে আমি আমার আব্বুকে তার ত্যাগের জন্যে তাকে কখনোই ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাইনা,বরং তার জন্যে আমি দোয়া করি আব্বু তুমি সবসময় সুস্থ থাকো,ভালো থাকো,যতদিন বেঁচে থাকবা আল্লাহ যেনো তুমাকে শান্তি নিয়ে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করে।তোমার বড় মেয়ে তোমাকে অনেক ভালোবাসে কিন্তু কখনো প্রকাশ করতে পারেনা।
ইউশা জান্নাত নুন
শিক্ষার্থী, মার্কেটিং বিভাগ।
“বাবাই আমার রাজা”
আমার বাবা আমার রাজ্যের রাজা।আমার দেখা পৃথিবীর শুদ্ধতম ফুল আমার বাবা। আমার কাছে বাবা মানে বটগাছের শীতল ছায়া, ভয়হীন ভরসা, পরম নির্ভরতা, হৃদস্পন্দনের আস্থা ও ভালোবাসার পরম আশ্রয়স্থল। অসীম সাহস আর উদ্দীপনা, উৎসাহিত করে আমাকে কঠিনতম পথ পাড়ি দিতে শেখায়। চলার পথে ঝড় এলে আগলে রাখেন বুকে। দিনকে দিন অক্লান্ত পরিশ্রমে আমাদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলেন। বৃষ্টি হলে ছাতা হয়ে মেলে ধরেন তার দুটো ডানা। তীব্র দাবদাহে বটের ছায়া হয়ে শীতল করে দেন দেহ-মন। প্রতিদিন জন্ম হয় প্রায় ৩,৫০,০০০ লক্ষ সন্তান আর তার সাথে জন্ম নেয় একই অংকের বাবা।কিন্তু আমি জানি আপনার একটা ইচ্ছেও পূরণ করতে পারিনি। কিন্তু আপনি আমার সকল ইচ্ছে পূরণ করেছেন। এখনও করেই যাচ্ছেন।পারলে কোনো এক দিন আপনাকে একটা আকাশ কিনে দিব যেই আকাশে আপনি সকল মানুষকে আপনার মন মতো তৈরি করে নিবেন, । দোয়া করবেন আমার জন্য, বেঁচে থাকুন হাজার বছর আমার হয়ে। বাবা দিবসে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা পূর্ণতা পাক। দৃঢ় হোক পরিবারের বন্ধন। পৃথিবীর সব বাবার প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
জি.এম ওসমান
শিক্ষার্থী, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ।
মেয়েদের জীবনের প্রথম ভালোবাসা তার বাবা
“বাবা” শব্দটা খুবই গম্ভীর হলেও এর তাৎপর্য অনেক। বাবা
প্রত্যেকটা মেয়ের জীবনের প্রথম ভালোবাসা এবং প্রত্যেকটি সন্তানের আদর্শ। বাবাদের ত্যাগ মায়েদের থেকে কোন অংশে কম নয়। কেন বললাম বলেন তো? কারণ তারা শত কষ্টে থেকেও আপনাকে বুঝতে দিবেনা যে সে ভালো নেই। নিজে ভালো না থাকলেও আপনাকে ভালো রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করে যায় তারা। বাবারা কখনোই নিজেদের জন্য ভাবে না, মুখ ফুটে কখনোই বলে না যে তাদের কি লাগবে। কিন্তু বাবারা কেমন যেন। কখনোই আবেগ প্রকাশ করতে চায় না, ভাবে যত কষ্ট একাই সইবো সন্তান দের বুঝতে দিলে তারা চিন্তা করবে। সকল বাধা তিনি একাই অতিক্রম করেন। অনেক সন্তানরাই আছি আমরা যারা বাবাকে বলতে পারি না যে “বাবা, ভালোবাসি।” এই বিশ্ব বাবা দিবসে সকল বাবাকে জানাই বাবা দিবসের শুভেচ্ছা যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন পরিবারের জন্য, সন্তানের জন্য।
মাসফিকা বিনতে হাফিজ
শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ।