নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গবন্ধুকে আজীবন বুকে লালন করে জীবন সংগ্রামী মানুষ এই ছৈয়দুর রহমান। পোশাকে-আশাক, চাল-চলনে দেখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তিনি। দৈনিক কাজ শেষে বঙ্গবন্ধুকে ভালবেসে মুজিব কোট পড়ে চলেন তিনি। এই সময়ে এসেও ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে বঙ্গবন্ধুর জন্য দোয়া করেন। ফাতেহা করান বঙ্গবন্ধুর নামে, এমনকি বিশেষ দিনে রোজাও রাখেন। বলছি ষাটোর্ধ ছৈয়দুর রহমানের কথা। যিনি কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের লাইটহাউস পাড়ার বাসিন্দা।গোলাম রহমান ও চেমন খাতুনের ঘরে পিএমখালী ইউনিয়নের সিকদারপাড়া গ্রামে জন্ম নেন এই ছৈয়দুর রহমান।
ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য পরিবার-পরিজন নিয়ে ৪০/৪৫ বছর ধরে বসবাস করেন শহরের লাইট
হাউজ পাড়ায়। এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে চলছে তাঁর সুখের পরিবার।
পেশায় একজন রংমিস্ত্রী হলেও দৈনিক কাজ শেষে “মুজিব কোট” পড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেশে চলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। এলাকায় সবার কাছে তিনি বঙ্গবন্ধু নামে পরিচিত। দীর্ঘ সময় ধরে ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ওই এলাকার বঙ্গবন্ধু প্রেমিক লোক
গুলো সুযোগ পেলে তার সাথে ছবিও তুলেন।
সর্বশেষ ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তার সাথে দেখা মিলে প্রতিবেদকের। কুশলাদি বিনিময় শেষে কথা হলে তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুকে মনেপ্রাণে ভালবাসেন এবং পোশাকে আশাকে, চালচলনে তাই ধারণ করে চলেন। বঙ্গবন্ধুকে ভালবেসে আওয়ামীলীগের রাজনীতিও করেন তিনি। শেখ হাসিনার হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাক্ষী হতে রাজনীতিতে তার পথ চলা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জীবনে একবার দেখা করতে পারা তাঁর এবং তাঁর ছেলের জীবনের স্বপ্ন বলে জানান তিনি।
এই বিষয়ে ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি শাহেদ আলী শাহেদ জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালবেসে সবসময় পোশাকে-আশাকে, বেশভুষ ধারণ করে চলেন এই মুজিবভক্ত লোক ছৈয়দুর রহমান। তিনি আমার ভালবাসা ও পছন্দের একজন মানুষও বটে। খুবই শান্তশিষ্ট এবং কম কথা বলেন, তবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রতিবাদী তিনি। আমার এলাকার বর্তমানে বয়োজ্যেষ্ঠ আওয়ামীলীগ ভক্ত লোক এই ছৈয়দুর রহমান। যতই কাজ থাকুক মিছিল মিটিং কখনো বাদ দেন না। তাঁর একমাত্র ছেলে সোহেল আরমানও ১২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা হিসাবে মাঠে নেতৃত্ব দিচ্ছেন