অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটনঃ
ধাধার চরের কৃষি খামারে পুরুষ শ্রমিকদের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরাও সমানতালে ফসল উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। কৃষি খামারে নারীদের অবদান চোখে পড়ারই মতো।শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিমে নাশেরা, ঘিঘাট, গোসাইরগাঁও গ্রাম। এসব গ্রামের প্রান্তিক কৃষক পরিবারের নারীরাই প্রতিনিয়ত শীতলক্ষ্যা নদী পাড়ি দিয়ে সংসারের প্রয়োজনে কৃষি জমিতে ফসল ফলানোর কারিগর হিসেবে অনন্য অবদান রাখছেন। কৃষকের সাথে কাজ করছেন কৃষাণী। বাবার সাথে কাজে সহায়তা করছে মেয়ে। মায়ের সাথে কাজ করেন মেয়ে কিংবা পুত্র বধু । ভাইয়ের সাথে কাজে সহায়তা করছে বোন। শ্রমিকের সংকট এবং মজুরি পরিশোধ করা যাদের পক্ষে অসম্ভব সে সব কৃষক পরিবারের নারীরাই মূলত ধাধার চরে এসে পরিবার প্রধানের সাথে কৃষি খামারে কাজ করতে আসেন। গরু- ছাগলের খাবার সংগ্রহ, জমি থেকে আলু, মুলা,সিম, লাউ, ডাটা, শাক-সবজি তুলতে ওরা পরিবারের পুরুষদের সাহায্য করে। শীতলক্ষ্যা নদীর পানিতে শাক-সবজি ধুয়ে পরিষ্কার করে স্থানীয় বাজারে এসব বাজারজাত করতে নারীরা কাজ করেন। অনেক সময় পরিবারের নারী সদস্যরা চরে কর্মরত স্বামী, বাবা কিংবা পরিবারের পুরুষ সদস্যদের দুপুরের খাবার ও পানি নিয়ে আসেন । অনেক সময় নারীরা সকালে চরে এসে কাজ শুরু করেন। কাজ শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরেন। দীর্ঘ দিন যাবত নারী শ্রমিকরা ধাধার চরে ফসল উৎপাদনে পরিবারকে সহযোগিতা করছেন। ধাধার চরের কৃষক ও কৃষি উন্নয়নে নারী শ্রমিকদের অবদান অনস্বীকার্য।
শামসুল হুদা লিটন
সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০