
আলম জাহাংগীর :
জীবনে কিছু বুজুর্গ লোকদের কাছাকাছি থাকা ও ছাত্র হওয়ার সুযোগ হয়েছে। লোহাগাড়া উপজেলার কুমিরাঘোনা আখতারুল উলুম মাদ্রাসায় দুইজন শিক্ষক ছিলেন আমাদের সময়ে। একজন হলেন মরহুম মুহাদ্দিস মুন্সেফ আলী ও অপরজন হলেন আল্লামা আব্বাস উদ্দীন ওরফে শেখ সাহেব হুজুর।এই দুইজন মানুষের মধ্যে আল্লাহর ওলীদের যত গুনগান শুনেছি বা পড়েছি সবগুলো গুনেই ছিল।তখন বুঝতাম না যে এই বান্দাগুলো আল্লাহর ওলী। শেখ সাহেব হুজুর যে দিকে হেঁটে যেতেন ঐদিকে প্রশান্ত হয়ে যেত । এখন মনে উঠলে অবাক হই হুজুর কিভাবে রাতের বেশির ভাগ সময় নামাজের মধ্যে কাটিয়ে দিতেন।
ওস্তাদ মুহাদ্দিস সাহেব হুজুরের বাড়ি ছিল চন্দনাইশ এবং আল্লামা আব্বাস উদ্দীনের রশিদারঘোনা, বড়হাতিয়া । উনি চুনতী বাজার মসজিদের খতিবও ছিলেন। যারা শেখ সাহেবকে কাছ থেকে দেখেছেন তাদের সবার হয়তো জানা আছে উনার পরহেজগারী ও দ্বীনদারীত্বের কথা । উনি একবার আমাকে শাসন করেছিলেন কঠিনভাবে এবং আল্লাহর কাছে দোয়াও করেছেন ।
এই দুইজন আল্লাহর বান্দার মাদ্রাসার ক্লাস কমিয়ে আনা হলে ও, একজন মুহাদ্দিস আরেকজন হেড মাওলানা হওয়ার সত্বেও কুমিরাঘোনা মাদ্রাসা ছেড়ে যাননি। দুনিয়াবী কোন লোভ বা পদে আসার কেয়ার করেনি উনারা। যারা সত্যিকারের আল্লাহর ওলি,তাদের চরিত্রের মধ্যে তা ফুটে উঠে। হয়তো তারা দুনিয়াতে পরিচিতি লাভ করেনা।
আখতারাবাদ ( কুমিরাঘোনা ) আখতারুল উলুম মাদ্রাসা, বায়তুশ শরফ আন্জুমানে ইত্তেহাদ পরিচালিত একমাত্র কওমী মাদ্রাসা। এই দ্বীনি শিক্ষাকেন্দ্র অনেক জ্ঞানী-গুনীর জন্ম দিয়েছে । বায়তুশ শরফের বর্তমান পীর আল্লামা আ: হাই নদভী, মরহুম খতিব ও অসংখ্য আলেম-ওলামা, শিক্ষক, আইনজীবী, উচ্চ পদস্হ চাকুরীজীবী এই মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০