ষ্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় নৌকায় ভোট চাওয়ায় সিরিঞ্জ দিয়ে আওয়ামী লীগ কর্মীর রক্ত তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে বিএনপি নেতা হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে (২৬ নভেম্বর) শুক্রবার রাতে দোয়ারাবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মামুনপুর গ্রামের বাসিন্দা বদরুল ইসলাম, মিরপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিক মিয়া ও জুয়েল মিয়া।
সাধারণ ডায়রী নম্বর ১১২১। হারুন অর রশীদ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। তিনি গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সুরমা ইউপি নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম বীর প্রতীকের সাথে পরাজিত হন।
থানায় সাধারণ ডায়রীতে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের খাগুরা গ্রামের বাসিন্দা হারুন অর রশীদ তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার থেকে গত (২৬ নভেম্বর) শুক্রবার সকাল এগারোটার দিকে একই ইউনিয়নের মামুনপুর গ্রামের বদরুল ইসলামকে কল দিয়ে রক্ত তুলে নেওয়ার হুমকী দিয়ে বলেন, ‘তোমার এতো বড় সাহস, তুমি নির্বাচনের দিন মশিউরের কাছে নৌকায় ভোট চাইছ। তুমি, রফিক এবং হাছান আলীর ছেলে জুয়েল তোমরা যারা নৌকার হয়ে ভোট চাইছ তোমাদেরকে বেঁধে তোমাদের কাছ থেকে আমি ২৫ লাখ টাকা উদ্ধার করব, টাকা উদ্ধার করতে না পারলে সিরিঞ্জ দিয়া তোমারদের রক্ত তুলে নেব।’
বদরুল ইসলামের সাথে হারুন অর রশীদের এই কথোপকথনের কল রেকর্ড ইতোমধ্যে বিভিন্ন মানুষের মোবাইলে ছড়িয়ে পড়েছে।
এব্যাপারে সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম বীরপ্রতীক বলেন, ‘নৌকার পক্ষে কাজ করায় আওয়ামীলীগের কর্মীদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছেন আমার প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত পরাজিত প্রার্থী হারুন অর রশীদ। গতকাল (২৬ নভেম্বর) শুক্রবার থানায় গিয়ে অভিযোগ করেছি। অভিযোগ করে বাড়ি ফেরার পথে আমার এক কর্মীকে মারধর করেছে হারুন অর রশীদ। পুলিশ প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেছি, কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমার কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় আছে। আমি এবিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক মহোদয়কেও অবগত করেছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন, ‘গতকালকে হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। এখন এটার তদন্ত চলেছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে গতকালকে জিডি করার পর কাউকে মারধরের কোনো অভিযোগ পাইনি।’