এম এ মোতালিব ভুঁইয়া : আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিক বরাদ্দের পর জোরেসোরে প্রচার প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা। দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রচার প্রচারণার বিধি থাকলেও চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থী কেউ তা মানছেন না। সকাল ১১টা থেকেই অধিকাংশ প্রার্থী তার প্রতিক নিয়ে প্রচারণায় নামছেন এবং রাত ১০টার পরেও মাইক ব্যবহার করে তাদের নিজ নিজ প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।মঙ্গলবার বাংলাবাজার,বোগলাবাজার, নরসিংপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায় একযোগে কমপক্ষে ৭/৮টি মাইক নিয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। মাইকের বিকট শব্দে এক অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এসএসসি ও এইচএসচি পরীক্ষাথী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনায় ভীষণ বিঘগ্ন ঘটছে। রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এমনকি অনেক প্রার্থী রাত ১২পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতে ব্যবসায়ী ও এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া অধিকাংশ প্রার্থীর সমর্থনে মিছিলে বাঁশির কর্কশ আওয়াজ ও মোটরসাইকেল মহড়ার হিড়িক চলছে।চেয়ারম্যান প্রার্থী বিভিন্ন মেম্বার প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লংঘন করে ব্যানার টানানো হয়েছে, দেয়ালে ও পরিবহনে পোষ্টার লাগানোর অভিযোগ রয়েছে। এমনকি এক প্রার্থী অপর প্রার্থীর ও তার সমর্থকদের প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান এবং মেম্বার প্রার্থীদের পোষ্টার বিভিন্ন দেয়াল ও পরিবহনে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।এক প্রার্থীর সমর্থককে অন্য প্রার্থীর সমর্থককেরা প্রকাশ্যে হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। এসব ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যা নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের সুস্পষ্ট দৃষ্টান্ত। অথচ নির্বাচন কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোন পদক্ষেপ নেই বলে একাধিক ব্যক্তি জানান। মোটরসাইকেল মহড়ার বিকট শব্দে ছোট শিশুরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে বলে এলাকার জনসাধারণ অভিযোগ করেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার সাইফুদ্দীন বলেন, আইন অমান্য করে প্রচার প্রচারণা চালালে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু আচরণবিধি লংঘনের এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। যদি কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।