হুমায়ন কবির
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে কক্সবাজারের পেকুয়ার উজানটিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে চলছে দৌড়ঝাঁপ প্রতিযোগিতা।
নৌকা প্রতীকের জন্য লড়ছেন দলের ৫ শীর্ষ নেতা ও তরুণ সাংবাদিক।
তাঁরা হলেন,উজানটিয়া ইউনিয়নের দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল করিম, পেকুয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক জালাল উদ্দীন ও ইউনিয়ন আলীগের সাধারণ সম্পাদক এম শাহ জামাল এবং উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি জিয়াবুল হক জিকু । এছাড়াও তরুণ সাংবাদিক এম এম আকরাম হোছাইন আওয়ামী লীগের নৌকা মনোয়ন প্রত্যাশী হিসেবে এলাকায় প্রচার-প্রচরনা চালাচ্ছেন।
এবার উজানটিয়া ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রত্যাশীদের মধ্যে চমক হতে পারেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক,উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক জালাল উদ্দীন।
সাংবাদিক জালাল বলেন, আমি সর্বদা তৃণমুল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে মানবতার মা বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে ১৯৮৯ সাল থেকে কাজ করে আসছি। বর্তমান সরকারের জনবান্ধব প্রকল্পের বরাদ্ধগুলো প্রকৃত দাবিদার তারা পাচ্ছেন না। এগুলো নিয়ে অতীতের মত বরাবরই আত্মীয়করণ ও স্বেচ্ছাচারিতা নীতির কারণে গরীব লোকেরা সর্বদা গরীব থেকে পথের ভিখারীতে পরিণত হচ্ছে আর বিত্তশালীরা সর্বদা ধনীর তালিকায় নাম লিখাচ্ছে। তাই এমনি ব্যক্তিতন্ত্রের কবল থেকে উত্তরণ ঘটাতে আমাদের মত মধ্যবিত্ত ও রাজপথের ত্যাগী নেতাদের মুল্যায়ন করে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হলে ইনশাআল্লাহ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত হবে পাশাপাশি তৃণমুল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এবং সাধারণ জনতা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে ইনশাআল্লাহ।
স্থানীয় সচেতন মহল ও সাংবাদিক জালালের ঘনিষ্ট সুত্রে জানা যায়, সাংবাদিক জালাল উদ্দীন ১৯৮৮ থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন, ১৯৮৯ সালে ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন ও ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে থেকে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং ১৯৯২ সালে ইলিশিয়া জমিলা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৩ সালে SSC পাশ করে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী কলেজ ওমরগণি এম ই এস কলেজে ভর্তি হয়,১৯৯৪ সালে কলেজ ছাত্রলীগের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০০১ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে মামলা ও হামলার এবং সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিনের রোষানলের শিকার হয়ে দেশ ছেড়ে সৌদি আরব চলে যেতে হয়েছে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে রাজনৈতিক মামলা শেষ করেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে ২০১৫ সালে সাংবাদিকতা পেশা গ্রহণ করে। ২০১২ সালে থেকে বর্তমান পর্যন্ত উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। রাজনীতি ও সাংবাদিকতার পাশাপাশি উজানটিয়া ইউনিয়নে অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে আপামর জনতার আস্তাভাজন হয়ে উঠেন।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-২০২১ এ বিএনপি অংশ না নেওয়ায় ধানের শীষ প্রতীক পাচ্ছেনা কেউ। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মানুষদের সাথে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন এমজারুল।
তিনি বলেন, উজানটিয়ার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি দীর্ঘদিন ধরে। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আমি প্রস্তুত।
এদিকে ০৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফরহাদ রেজা বলেন,আমরা সৎ,দায়িত্বশীল ব্যাক্তি এবং যিনি উজানটিয়া ইউনিয়নের উন্নয়নের কাজ করতে পারবে তাকে আমরা ভোট দেব। উজানটিয়ার সাধারণ জনগণ মনে করেন গত এক দশকে উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের তুলনায় উজানটিয়ার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালোই ছিলো। সচেতন ব্যক্তিদের মতে পিছিয়ে থাকা অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার ও অর্থনৈতিকভাবে সম্মৃদ্ধ উজানটিয়া গড়ে তুলার মতো যোগ্য ব্যক্তি তারণ্যের প্রতীক সাংবাদিক জালাল উদ্দিনকে ভোট দিবে তারা ।
এ নির্বাচনে সততা, নিষ্ঠা, দক্ষতা, সর্বোপরি যোগ্য ব্যক্তি সাংবাদিক জালালকে বেচে নিবে তাঁরা।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল করিমের মুখে উঠে আসলো ভিন্ন কথা। তাঁর দাবী গত নির্বাচনে জনপ্রিয়তা থাকার পরেও দলের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। কাজ করেছেন নৌকার পক্ষে। এবারের নির্বাচনে দল তাঁর বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে আশা করেন তিনি।
নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এম. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, টানা ১৮ বছর ধরে জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। উজানটিয়াবাসীর আকাংখা আমি বুঝি। তাঁরা আমাকে দুহাত ভরে দিয়েছে। আমিও চেষ্টা করেছি সে প্রতিদান দেওয়ার। গত নির্বাচনে দল আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছিলো। নৌকাকে বিজয়ী করে সে মর্যাদা রেখেছি। এবারের ইউপি নির্বাচনে ও দল যেটা সিদ্ধান্ত নিবে সেই অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাবো।
সাংবাদিক জালাল বলেন, উজানটিয়ায় বরাবরের মত সর্বদা পর্যাপ্ত পরিমাণ বরাদ্ধ আসে। কিন্তু সে বরাদ্ধ প্রকৃতি হত-দরিদ্রদের কাছে পৌঁছে না। এ স্বেচ্ছারিতার কবল থেকে মুক্ত করতে আমি নৌকার মাঝি হিসাবে নিজেকে প্রস্তুত করেছি। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় ইনশাআল্লাহ নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত হবে।