ঢাকাবুধবার , ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  1. সর্বশেষ

জামায়াতের সহিত নামাজ আদায় করার ফজিলত :

প্রতিবেদক
নিউজ এডিটর
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ৩:২১ অপরাহ্ণ

Link Copied!

শেখ মোহাম্মাদ মাসুম:

নামাজ হচ্ছে দুনিয়ার সবকিছু থেকে উত্তম। অবশ্য আমরা অনেকেই নামাজ পড়িয়া থাকি বটে কিন্তু আমরা আদৌ জামাতের সহিত আদায় করি কি?

অথচ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম যেভাবে নামাজ পড়ার জন্য কঠোর তাগিদ করিয়াছেন, তদ্রূপ জামায়াতে পড়ার জন্যও বিশেষভাবে তাগিদ করিয়াছেন।

একদা নবী করিম এরশাদ করেন যে,,, কোন ব্যক্তির নামাজ জামাতে পড়া হইয়াছে, উহা ঘরে কিংবা বাজারে একাকী পড়া নামাজের চেয়ে 27 গুণ ফজিলত রাখে। তার কারণ এই যে, মানুষ যখন উত্তমরূপে অজু করিয়া একমাত্র নামাযের উদ্দেশ্যে মসজিদের দিকে অগ্রসর হয় তখন তাহার প্রতি কদমেই একটি করিয়া গুনাহ মাফ হয়ে যায়। অতঃপর নামাযান্তে যদি সেই স্থানে বসে থাকে তবে যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণ ফেরেশতারা তার মাগফেরাত ও রহমতের জন্য দোয়া করতে থাকেন আর যতক্ষণ মানুষ নামাজের প্রতীক্ষায় থাকে ততক্ষণ সে নামাজের সওয়াবই লাভ করিতে থাকিবে ( বোখারী ও মুসলিম)

অন্যএক এক হাদিসে হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ) বলেন,,, যে ব্যক্তি এই আশা পোষণ করে যে কাল কেয়ামতের দিবসে সে আল্লাহর দরবারে মুসলমান রুপে উপস্থিত হইবে সে যেন ওই সমস্ত নামাজকে ঐরুপ স্থানে আদায় করে সেখানে আজান দেওয়া হয়। কেননা আল্লাহ পাক তোমাদের নবীর উপর কতিপয় সুন্নত জারী করিয়াছেন তাহা পুরোপুরি হেদায়েত। জামাতে নামাজ আদায় করা উহাদের অন্যতম। তোমরা যদি অমুক ব্যক্তির নয় ঘরে নামাজ পড়িতে আরম্ভ করো তবে নবীজির সুন্নত তরককারী বলিয়া গণ্য হইবে এবং ইহাও জানিয়া রাখিবে,, যদি নবীজির সুন্নত ছাড়িয়া দাও তবে তোমরা নিশ্চিত গোমরাহ হইয়া যাইবে। অথচ বলা হয়েছে কেউ উত্তমরূপে অজু করিয়ে মসজিদের দিকে অগ্রসর হয় তবে তাহার প্রত্যেক কদমেই এক একটি নেকী লিপিবদ্ধ হইয়া যাইবে এবং এক একটি পাপ মাফ হইয়া যাইবে। নবী করিম( সাঃ) এর জামানায় তো আমরা দেখিতাম একমাত্র প্রকাশ্য মুনাফেক ব্যক্তিরা ছাড়া সাধারন মুনাফেক ব্যক্তিগণেরও জামাত তরক করিবার সাহস হতো না। কিংবা কেহ কোন কঠিন রোগে আক্রান্ত হইলে জামাতে হাজির হতেন না। আর যেই ব্যক্তি দুজনের কাঁধে ভর করিয়া পা হেঁচড়াইয়া চলিতে পারিত তাহাতেও জামায়াতের কাতারে খাড়া করিয়া দেওয়া হতো ।

সাহাবায়ে কেরামগণের নিকট জামায়াতের এত বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারণ এই যে,, তাহাদের এবং আমাদের সরদার নবী করিম( সাঃ)জামায়াতকে অতি গুরুত্ব দিয়েছেন।

একটি হাদীসে বর্ণিত আছে,, মুনাফিকদের উপর ইশার এবং ফজরের নামাজ খুবই কষ্টকর। যদি তারা জানত জামায়াতে কত ফায়দা রহিয়াছে তবে তারা মাটিতে গড়াগড়ি দিয়া হইলেও জামাতে নামাজ আদায় করি ( তারগীব)
ইনশা-আল্লাহ আমরা সকলেই নিয়ত করি,, যাতে জামায়াতের সহিত পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করতে পারি।
আমিন

687 Views

আরও পড়ুন

চট্টগ্রামে প্রিমিয়ার ব্যাংকের স্থানান্তরিত ব্রাঞ্চ, সাব ব্রাঞ্চ ও এটিএম উদ্বোধনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক

যুব রেড ক্রিসেন্ট অ্যালামনাই এর ১ম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করায় উত্তাল বুটেক্স হল

আমীরে জামায়াতের আগমন উপলক্ষে শহর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের স্বাগত মিছিল ৪ই ফেব্রুয়ারী

টঙ্গীতে নির্মাণাধীন ৭ তলা ভবনের দেয়াল ধসে পড়ে মা-মেয়ে আহত, হাসপাতালে ভর্তি

রূপগঞ্জে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের গোডাউনে ভয়াবহ আগুন

হাওর উৎসবে হাওর বিষয়ক মন্ত্রনালয় গঠনের দাবি

শান্তিগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী’র ব্যক্তিগত সহকারি জুয়েল গ্রেপ্তার

উৎসবমুখর পরিবেশে রুহিয়া থানা প্রেসক্লাবের বার্ষিক বনভোজন-২০২৫ অনুষ্ঠিত 

শহিদ আবরার থেকে জুলাই বিপ্লবের রাজসাক্ষী “আকর”

জামায়াতের সমর্থন ছাড়া কেউই সরকার গঠন করতে পারবে না–হামিদুর রহমান আযাদ

“গরীবের ডাক্তার’’ হিসেবে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই- খালেদ বিন রশিদ