নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গতি কখনও ১৩০কেবিপিএস, কখনও ১৪০কেবিপিএস, কখনও ১৫০কেবিপিএস। এই গতির ইন্টারনেট দিয়ে কোন কাজই ঠিকমত সঠিক সময়ে করা যায়না। এছাড়া অনেক সময় মাসের মধ্যে ৫-৭দিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকে এবং বিদ্যুৎ চলে গেলে তো তাদের পুরো লাইনই বন্ধ থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেক লোক বড় ইন্টারনেট সেবাদাতার কাছ থেকে ব্যান্ডউইডথ নিয়ে গ্রাহককে দেয়, যাদেরকে “রিসেলার” বলা হয়। এদের কারনে ইন্টানেট এর গতি কমে যায়।
জেলার বিভিন্ন উপজেলা এবং ইউনিয়নের গ্রাহকদের সাথে কথা বলে জানাযায় প্রতিটি ইউনিয়নে প্রভাবশালীরা ইন্টারনেট সেবাদাতা হিসেবে কাজ করছে। তাদেরকে সেবা নিয়ে কোনো অভিযোগ জানালে উল্টো বিপাকে পড়তে হয়। বিটিআরসি যে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে তা এরা মানে না।
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম ঠিক করে দিলেও তা মানছে না এসব প্রভাবশালী ইন্টারনেট সেবাদাতারা, মানছেনা সরকারী কোন নিয়ম-কানুন!
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গ্রাহকের অভিযোগের আলোকে দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে হবে। টানা ৩ দিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকলে সেবাদাতা ওই মাসে গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো সেবামূল্য বা বিল নিতে পারবে না।
বিটিআরসির পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা সব ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের (আইএসপি) কাছে পাঠানো হয়।
সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ৬ জুন চালু করা “এক দেশ, এক রেট” কর্মসূচির আওতায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সেবামূল্য ঘোষণা করা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, টানা ১ দিন ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে গ্রাহকের কাছ থেকে ওই মাসে মোট বিলের ৫০ শতাংশ নেওয়া যাবে। টানা ২ দিন ইন্টারনেট না থাকলে নেওয়া যাবে মাসিক বিলের ২৫ শতাংশ টাকা।
৩ দিন ইন্টারনেট না থাকলে সে মাসে কোনো টাকাই নেওয়া যাবে না। “এক দেশ, এক রেট” কর্মসূচির আওতায় গত জুনে ৩টি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।
১ম প্যাকেজের মূল্য মাসে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা, যার গতি হবে ৫ এমবিপিএস । ২য় প্যাকেজের মূল্য মাসে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা, গতি ১০ এমবিপিএস। আর ৩য় প্যাকেজের গতি ২০ এমবিপিএস, দাম মাসে সর্বোচ্চ ১,২০০ টাকা। মহানগর, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে একই মূল্যে ইন্টারনেট সেবা দিতে হবে। এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে শেয়ারড বা ভাগাভাগির (১:৮) ব্যান্ডউইডথের ক্ষেত্রে। বিটিআরসি নতুন নির্দেশনায় বলেছে, সেবাদাতারা নতুন-নতুন প্যাকেজ দিতে পারবে।
তবে সেটা হতে হবে অনুমোদিত প্যাকেজের আদলে এবং গতির সর্বনিম্ন সীমা ৫ এমবিপিএস ঠিক রাখতে হবে। নতুন প্যাকেজের জন্যও অনুমোদন নিতে হবে। এর বাইরে কোনো প্যাকেজ দিলে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।
অনুমোদিত সেবামূল্য আইএসপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। বিটিআরসি নতুন নির্দেশনায় আরও বলেছে, গ্রাহকের অভিযোগের আলোকে দ্রুত তার সমস্যার সমাধান করতে হবে। এবং তথ্য অন্তত ৬ মাসের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।
নোয়াখালীতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহকারীদের একজন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, অবৈধ আইএসপি থেকে সংযোগ নিলে গতির সমস্যা হবে।
এলাকার পেশি শক্তিধারীরাই এধরনের একচেটিয়া ব্যবসা করে। এ বিষয়ে আইএসপিএবির কাছে বা বিটিআরসির কাছে গ্রাহক অভিযোগ জানাতে পারেন। তিনি দাবি করেন, বিটিআরসি নির্ধারিত নতুন মূল্যহার কার্যকর হয়েছে। বাংলাদেশে লাইসেন্সধারী আইএসপি প্রতিষ্ঠান আছে ২০০০ এর কিছু বেশি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০