
নিউজ ডেস্ক :
৫ আগস্ট রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ চলাকালে মা–বাবার সঙ্গে রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে থাকা জাবিরের ঊরুতে গুলি লাগে। শিশুটির পুরো নাম জাবির ইব্রাহিম। বয়স ৬ বছর। মা-বাবার সঙ্গে রাজধানীর দক্ষিণখান থানার পশ্চিম মোল্লারটেকে থাকত সে। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণিতে পড়ত। দুই ভাই আর এক বোনের মধ্যে জাবির সবার ছোট।
৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পরে উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় উত্তরার জসীমউদ্দীন সড়কে ছিল জাবির। মা-বাবার সঙ্গে রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে বিজয় মিছিল দেখছিল সে। সেখানেই গুলিবিদ্ধ হয় ছোট্ট জাবির।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে সন্তানের কথা স্মরণ করে শহীদ জাবিরের মা রোকেয়া বেগম বলেন, ‘গোলাগুলি শুরু হলে মনে হচ্ছিল আতশবাজি ফোটানো হচ্ছে। তখন তিনি (জাবিরের বাবা) বাচ্চাটার হাত ধরে সামনের দিকে দৌড় দেন। আমি কিছুটা পেছনে পড়ে যাই। দৌড়াতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে যায় জাবির। তখনো জাবিরের হাত ধরে ছিল ওর বাবা। দৌড়ে এসে দেখি, রাস্তায় পড়ে আছে জাবির। ওর ঊরুতে গুলি লেগেছে। রক্তে প্যান্টসহ শরীর ভেসে যাচ্ছে।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০