ষ্পোর্টস ডেস্ক :
চোখের জলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন তামিম ইকবাল। আফগানিস্তান সিরিজের মাঝপথে যেভাবে তিনি অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তাতে মনে হওয়া স্বাভাবিক, এই সিদ্ধান্ত অনেকটাই অভিমান প্রসূত।
বিগত কয়েক বছরে ফিটনেসের সাথে লড়াই, পারফরমেন্সে ঘাটতি; সব মিলিয়ে কম সমালোচনার তীর বিদ্ধ করেনি এই ড্যাশিং ওপেনারকে।
বিদায়ক্ষণে গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, দয়া করে ক্রিকেট সম্পর্কেই লিখুন। সীমা অতিক্রম করাটা অনুচিত।
৬ জুলাই ২০২৩, তারিখটাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বিশেষভাবেই হয়তো মনে রাখবে। তবে এই তারিখটি তার আগের দিন কয়েকের ঘটনা প্রবাহের ফলাফল, এমনটিও হয়তো বলা যায়।
আফগান সিরিজের শুরুতে ম্যাচ খেলে ফিটনেস টেস্ট করার কথা বলে সমালোচনার শিকার হন তামিম। বোর্ড প্রধান থেকে মূল কোচ, সবাই নাকি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তামিমের এহেন মন্তব্যের।
শেষমেষ, ৬ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে অশ্রুসজল চোখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই বিদায় বলে দিলেন দেশের ইতিহাসে অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটার।
তবে এর পেছনে গণমাধ্যমের ভূমিকাও যে ছিল, প্রচ্ছন্নভাবে সে ইঙ্গিতও দিয়েছেন তামিম। আবেগ সামলে কথা বলতে কষ্ট হলেও তামিম ইকবাল বলেন, গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ, যারা ভবিষ্যতে খেলবে তাদের নিয়ে আপনারা ভালো লিখবেন, খারাপ লিখবেন, যা কিছুই লিখবেন; কিন্তু দয়া করে ক্রিকেট সম্পর্কেই লিখুন। সীমা অতিক্রম করাটা অনুচিত। কেউ ভালো খেললে ভালো বলবেন, খারাপ খেললে খারাপ। কিন্তু ক্রিকেট নিয়েই লিখুন। কিন্তু কখনও কখনও সীমা অতিক্রমের ঘটনাও ঘটে।
গণমাধ্যমের প্রতি বাংলাদেশের ওয়ানডের সদ্য সাবেক অধিনায়ক বলেন, সবাইকে বলবো- পরিস্থিতিকে সম্মান করুন। এভাবে কথা বলা সহজ নয়, যখন এতদিন খেলার পর বিদায় বলতে হয়।
আমি সব গণমাধ্যমকেই ধন্যবাদ জানাই। আমার চ্যাপ্টার এখানেই শেষ করে দিন, অন্তত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ক্ষেত্রে। এটা নিয়ে আর টানাহেঁচড়া করার দরকার নেই যে, কেন এই সিদ্ধান্ত। কী ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে- এসব আর জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন নেই। এটা এখানেই শেষ। এটাই ‘দ্য এন্ড’।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০