নিউজ ডেস্ক :
গত ৫ আগস্ট বিকেলে বগুড়ায় গুলিতে আহত ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাতুলের জানাজা গতকাল ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিকেল সাড়ে পাঁচটায় মেডিক্যাল থেকে পোস্টমর্টেম শেষে লাশ শহীদ মিনারে জানাজার জন্য আনা হয়।
জানাজার আগে রাতুলের বড়ভাই আমির হামজা বলেন, স্বৈরাচার পতনের দাবিতে আহত হয়ে আমার ভাই আজকে শাহাদাত বরণ করেছে। আপনারা তার জন্য দোয়া করবে। আমরা চাই সেই স্বৈরাচারকে বাংলার মাটিতে ফিরিয়ে এনে যেন শাস্তি দেয়া হয়। যেসব পুলিশ এসব হামলা ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে তাদেরও যেন এর চেয়ে নির্মম শাস্তি দেয়া হয়, যেভাবে আহত হয়ে পয়তাল্লিশ দিন আমার ভাইকে যন্ত্রণায় ভুগতে হয়েছে।
রাতুলের মা রোকেয়া বেগম বলেন, আমার রাতুল অনেক সাহসী ছিল। সে অনেক চঞ্চল ছিল। রাতুল আমাকে সব সময় বলতো এতো ভয় না পেতে, সেই রাতুলের শরীর গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে ওরা। রাতুলের পিঠ থেকে অনবরত রক্ত ঝর ছিল।
জানাজায় কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লুৎফর রহমান, মাহিন সরকার, তরিকুল ইসলাম। সম্মেলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপস্থিত ছিলেন আল দ্বীন,জাকির হোসেন মঞ্জু, আবু নাঈম।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিল বগুড়ার শিশু শিক্ষার্থী জুনায়েদ ইসলাম রাতুল। গতকাল ভোর ৫টায় রাজধানীর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে রাতুল।