নিউজ ডেস্ক:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকারের ভেতর ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে- তারা ক্ষমতা ছাড়লে তাদের মারধর করা হবে, তাদের বাড়িঘরে হামলা হবে। ভয়ের কারণ নেই। বিএনপি গণমানুষের দল। আপনাদের (আওয়ামী লীগ) মতো দানবের দল নয়। আমাদের বিবেক-বুদ্ধি আছে। তবে যে অন্যায়-অত্যাচার করছেন- তার জন্য দেশের ১৮ কোটি মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে কিনা জানি না।
শুক্রবার বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সরকার পতনের এক দফা দাবিতে কালো পতাকা মিছিলপূর্ব সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত এ কালো পতাকা মিছিলপূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মাহমুদ ও আনম সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল প্রমুখ। বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী এ কালো পতাকা মিছিলে অংশ নেন।
এ সময় গয়েশ্বর আরো বলেন, আমরা ভাগ চাই না। ভোটের অধিকার চাই। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জনগণ আপনাদের ভোট দেবে না, এ বিশ্বাস আপনাদের (সরকার) মনে এলো কী করে? কারণ, আপনারা দেশের টাকা লুট করেছেন। দেশের তরুণ সমাজ আজ বেকার। ১০ লাখ কোটি টাকা লুট করেছেন। তা লুট না করে যদি দেশে শিল্প কারখানা করতেন তাহলে উল্টো বিদেশীরা আমাদের দেশে কাজ করতে আসতো।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ আজ অর্ধাহারে, অনাহারে। আরেকদিকে অধিকার হারা। পুলিশ টিয়ারসেল ও গুলি করে আপনাদের ক্ষমতা রক্ষা করতে পারবে না। পুলিশের দায়িত্ব জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া। অথচ পুলিশ আজ লুটেরাদের পাহারা দিচ্ছে। চোর-ডাকাতদের পাহারা দিচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আমরা এখন আর মৃত্যুকে ভয় পাই না। মরণের শপথ নিয়ে মাঠে নেমেছি। জেলে নিয়ে গুলি করে বিএনপিকে দমন করা যাবে না। আইয়ুব-ইয়াহুয়াও নিরস্ত্র জনগণের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। বন্দুক তাক করে লাভ নেই। আমার ওপরও বন্দুক তাক করেছিলেন। ভোট চুরির জন্য আজ সারাবিশ্ব আপনাদের ধিক্কার জানাচ্ছে। জনগণের ক্ষোভ চূড়ান্ত পর্যায়ে যাওয়ার আগে ক্ষমতা থেকে কেটে পড়ুন, নতুবা জনগণ আপনাদের ছাড়বে না।