নিউজ ডেস্ক :
ডাকসু নির্বাচনে জিএস প্রার্থী এস.এম ফরহাদের প্রার্থীতা নিয়ে করা রিটে ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের আদেশ প্রদান
পরবর্তী চেম্বার জজ উক্ত আদেশ স্থগিত করলে টক অব দ্যা কান্ট্রি তে পরিণত হয় এস.এম ফরহাদের আইনজীবী এডভোকেট শিশির মনির। তাকে নিয়ে নিয়ে এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভেরিফাইড পেজে পোস্ট করেছেন এডভোকেট শিশির মনিরকে নিয়ে। যা এখন সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
পাঠকদের উদ্দেশ্যে হাসনাত আবদুল্লাহর পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো :
---------
আজকের হাইকোর্টের রায় উল্টানোর নায়ক এডভোকেট শিশির মনির।
বিকেলের ঘটনাটা একদম টার্নিং পয়েন্ট।
হাইকোর্ট ডাকসু স্থগিত করলেই যদি ওইদিন আপিল না হতো—
২ দিনের মধ্যে সিরিয়াল পেতো না,
তারপর কোর্ট টানা ১৫ দিনের জন্য বন্ধ!
অথচ ডাকসুর ডেট আর মাত্র ৮ দিন পর।
মানে—গেম ওভার!
কিন্তু সেই ক্রুশিয়াল মোমেন্টে শিশির মনির হাতে লিখে, দৌড়ে গিয়ে চেম্বার জজ কোর্টে পিটিশন দিলেন।
শেষ মুহূর্তে যুক্তি দেখিয়ে স্থগিতাদেশকে উল্টে দিলেন।
ফলাফল?
ডাকসু নির্বাচন বেঁচে গেল ষড়যন্ত্রের হাত থেকে।
Thanks to শিশির মনির— তাঁর তড়িৎ সিদ্ধান্ত আর বুদ্ধিমত্তার জন্যই ডাকসু থেমে যায়নি।
এবার আসি কবির কথায়…
শোন হে কবি মি/থ্যান্দ্র/নাথ!!
তোমার জন্মের আগেই শিশির মনির ঢাবির ছাত্র ছিলো, এখন তিনি ঢাবির অ্যালামনাই।
বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে তাঁকে আইনজীবী করবে— তাতে তোমার মাথাব্যথা কেন?
আসলেই শিশির মনির সেই কাজটাই করেছেন যেটার জন্য তোমরা মিছিল করছো।
শিশির মনিরের উপর খেপলে বাম খেপতে পারে, কিন্তু তোমরা খেপছো কেন ভাই?
মানে ঘাপলাটা অন্য জায়গায়!
প্রশ্ন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থীকে—
তুমি যদি ডাকসু নির্বাচন সময়মতো হোক— এই চাওয়ার পক্ষে থাকো, তাহলে তো খুশি হওয়ার কথা।
কিন্তু তুমি উল্টো চিল্লাচ্ছো কেন?
এটা কি স্ববিরোধিতা, নাকি সরাসরি বলি—নিরাবুদ্ধিতা?
মনে রেখো—
যে আইনজীবী দ্রুত সিদ্ধান্তে চেম্বার কোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ উল্টে দিয়ে ডাকসু নির্বাচন নিশ্চিত করলেন,
তাঁর বিরুদ্ধে দাঁত কেলানো মানেই নিজের অর্বাচীনতা প্রমাণ করা। আরে ভাই, নির্বাচনের পক্ষে থাকলে “আইনজীবী কে”— তা কোনো বিষয় না।
কাজটাই আসল।
মনে পড়ছে তো?
আপনাদের নেতা তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবরসহ অনেকেই জনাব এডভোকেট শিশির মনিরের ক্লায়েন্ট ছিলেন। তখন তো কোনো সমস্যা ছিল না। এখন হঠাৎ এতো জ্বালা কেন?
সত্যিটা হলো—
বিনা কারণে চিল্লাচিল্লি করলে নিজের মার্কেটই নষ্ট হয়।
“কবি আবীন্দ্রনাথ” আসলে ভেতরে ভেতরে জ্বলে পুড়ছেন, কারণ তাদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে।
স্থগিতাদেশ উঠতেই কবির মুখের হাসি গায়েব।
লোডশেডিং-এর মতোই নিখোঁজ!
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০