======
আওয়ামী লীগকে বহুবার নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে জনগণ, দলের নেতা-কর্মী ও অগণিত সমর্থকদের কারণে তা সফল হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের ওপর বারবার আঘাত এসেছিল উল্লেখ করে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুব বেশি দিনের কথা নয়। ২০০৭ সালে চেষ্টা করা হয়েছিল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে কিংস পার্টি গড়ে তুলতে। সেটাও সফল হয়নি। তার কারণ, আওয়ামী লীগের মূল শক্তি হচ্ছে দেশের জনগণ, তৃণমূলের মানুষ, আওয়ামী লীগের অগণিত নেতা-কর্মী, মুজিব আদর্শের সৈনিক। এই সৈনিকেরা কখনো পরাজয় মানে না, মাথা নত করে না।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দুপুর ১২টার পর থেকেই ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমায়েত করেন আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ভেতরে প্রবেশে কড়াকড়ির কারণে অনেকে আশপাশের সড়কে অবস্থান নেন। মাঠে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করতে গান পরিবেশন করেন দেশবরেণ্য শিল্পীরা। বেলা ৩টা ৩৬ মিনিটে সভামঞ্চে আসেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় স্লোগান দিয়ে তাঁকে বরণ করে নেন উপস্থিত নেতা-কর্মীরা। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলটির নেতা-কর্মীরা। বিকেল পাঁচটার কিছু পরেই সভাপতির বক্তব্য শুরু করেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ ছেড়ে যাওয়া নেতাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘হয়তো কখনো কখনো কোনো নেতারা ভুল করেছেন। কেউ মনে করেছেন, আওয়ামী লীগে থাকলে তাঁরাই বড় নেতা; দলের চেয়েও নিজেকে বড় মনে করে দল ছেড়েছেন, অন্য দল করেছেন। কিন্তু তারা ভুল করেছেন। কেন? আপনারা দেখেন, আকাশে মিটিমিটি তারা জ্বলে। তারা আলোকিত হয় সূর্যের দ্বারা। যেসব নেতারা ভুল করেছিলেন, তাঁরা ভুলে গিয়েছিলেন, তাঁরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন বলেই আলোকিত ছিলেন। এখান থেকে চলে যাওয়ার পর ওই তাঁরা আর জ্বলেনি, আস্তে আস্তে কিছু মিটেই গেছে।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, ‘কেউ ভুল বুঝে হয়তো ফেরত এসেছেন, আমরা নিয়েছি। আবার কেউ এখনো বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের সরকার পতন, ধ্বংস—নানা জল্পনাকল্পনা করে যাচ্ছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। তা আমরা প্রমাণ করেছি। পঁচাত্তরের পর বারবার ক্ষমতা বদল হয়েছিল। সেটা হয়েছে অস্ত্রের মাধ্যমে, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। জনগণের অধিকার ছিল না। তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেনি।’