মুহা. ইকবাল আজাদ, ঢাকা
বয়সের হিসেবে সৌম্য থেকে লিটন এক বছরের জুনিয়র। খেলার দিক থেকেও তাই।কিছুদিন আগেও লিটনের বিয়ের শুভকামনা জানিয়েছেন। বিরত থাকেননি মিরাজের সময়ও। সিনিয়রদের বিয়েতেও নিয়মিত দেখা গেছে সৌম্যকে। গত বছর ক্রিকেট পাড়া জুড়ে ছিলো বিয়ের আসর। মুমিনুল, সাব্বির, বিজয়, মিরাজ, মুস্তাফিজ, লিটন-সবাই মিলে ২০১৯কে বিবাহবর্ষে পরিণত করলেন।
জাতীয় দলের পরিচিত মুখ সবাই শুভ কর্ম সেরে ফেলেছেন গত বর্ষে। বাদ ছিলেন শুধু সৌম্য সরকার। নাম্বার ৫৯কে নিয়ে কম জল্পনা কল্পনা ছিলো না ক্রিকেট প্রেমীদের। অভিনেত্রী পূজা চেরী ‘সৌম্যকে ভালো লাগে’ বলে গল্পের মাঝে যেন আরেকটু রস সৃষ্টি করেছেন। অন্ধ ভক্তরা তিলকে তাল বানিয়েছেন। কিন্তু সবই যে গুঁড়েবালি।
শত রমনীকে অবাক করে সৌম্য এবার বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন। বিয়ের কথা এবার এড়িয়ে যেতে চাইলেও তা পারেননি। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ধর্মযাজক ঠিক করেছেন বিয়ের দিনক্ষণ। আগামী ২৬ তারিখ হবে এই হার্ডহিটার ব্যাটসম্যানের হলুদ সন্ধ্যা। মাঝে একদিন বিরতি নিয়ে ২৮ তারিখ বিয়ে। নিজ জেলা সাতক্ষীরায় হবে এই আয়োজন। সূত্রমতে, পূর্ব পরিচিত এক রমনীর সাথে সৌম্যর এই সন্ধিক্ষণ। বিয়ের জন্য নিশ্চিত জিম্বাবুয়ের সাথে ঘরোয়া টেস্ট ম্যাচ মিস করবেন মি. ঊনষাট। তাই বিয়ের জন্য ইতিমধ্যে বিসিবি থেকেও ২৯ তারিখ পর্যন্ত ছুটি নিয়েছেন।
বিয়ের পর অনেকের জীবনে আমূল পরিবর্তন আসে। শুভ কাজে ব্যক্তি জীবনের পাশাপাশি প্রভাবিত হয় কর্মজীবনও। বাংলার বুকে এমন ধারণা অহরহ প্রচলিত। সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলে এমন ধারণার উপমাও দিয়েছেন লিটন দাস। বিয়ের পরে নাকি বেড়েছে তার ধারাবাহিকতার চলন। লিটন কতটুকু ধারাবাহিক হয়েছেন তার বিচার করবেন দর্শকেরা। পাশাপাশি বিয়ের পর সৌম্যকেও একজন পরিপক্ক কিংবা ধারাবাহিক খেলোয়াড় হিসেবে পেতেও ক্রিকেট প্রেমীরা আশা ছাড়বেন না।