মুহা. ইকবাল আজাদ, ক্রীড়া প্রতিবেদক।
খারাপ সময় যায়, ভালো সময় ফিরে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। নিয়মের বেড়াজালেই আবদ্ধ প্রত্যেক জীবকুল। ক্যারিয়ারের শুরুতে খুব একটা ভালো সময় যায়নি মুশির। প্রতিনিয়ত পরিশ্রমের বিনিময়ে খারাপ দিনকে আড়াল করেছেন, ভালোকে তুলে ধরেছেন। বলা হয়ে থাকে, পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ বাংলার ক্রিকেটের মিস্টার ডিপেন্ডেবল। ২০০৬ সালে টি-টোয়েন্টি ফর্মেটে অভিষেক হওয়া মুশি শুরুতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না। প্রথম অর্ধশতক পেতে কাটাতে হয়েছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রহর। ২০১৩ সালের নিজের অধিনায়কত্বের বেলায় ঘুচেছে অপেক্ষার অবসান। তারপর আবার খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন যেন! ব্যাটে টুকটাক রান আসলেও মেলেনি অর্ধশতকের দেখা। সংখ্যার চাদরে মোড়ানো অধরা সেই রান কাব্য পুনরায় ফিরে ২০১৮ সালে, রিয়াদের অধিনায়কত্বের বেলায়।
টি-টোয়েন্টিতে মুশফিক ২০১১-১৪ পর্যন্ত অধিনায়কত্ব করেছেন। নিজের সময় ছাড়াও পাঁচ অধিনায়কত্বের অধীনে খেলেছেন। সবচেয়ে বেশি সফল ছিলেন বর্তমান কাপ্তান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ছায়ায়। ক্যারিয়ারের ৫টি অর্ধশতকের ৪টিই এসেছে রিয়াদের আমলে। ২০১৮-বর্তমান সেশনে রিয়াদের অধীনে খেলা মুশির স্ট্রাইক রেট নিঃসন্দেহে ঈর্ষণীয়। ব্যাটিং গড় তো চোখে ছানাবড়ার মতো...তবে দেখা হয়ে যাক রিয়াদের বেলায় কেমন ছিলেন মুশি?
রিয়াদের অধীনে মুশির T20 ক্যারিয়ারঃ
প্রথম ম্যাচঃ ২০১৮
মোট ম্যাচঃ ১০টি
মোট ইনিংসঃ ৯টি
নট আউটঃ ৪ বার
মোট রানঃ ৩১৫
সর্বোচ্চ রানঃ ৭২* (ক্যারিয়ার বেস্ট)
ব্যাটিং গড়ঃ ৬৩ 😲😲
বল ফেইসডঃ ২০৯
স্ট্রাইক রেটঃ ১৫০.৭১
শতকঃ নেই
অর্ধশতকঃ ৪টি
ডাকঃ ১ বার
বাউন্ডারিঃ ৩০ টি
ছক্কাঃ ১১টি
আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজে রিয়াদের অধীনে পুনরায় মাঠে নামছেন মুশফিকুর রহিম। পরিশ্রমে নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন একাধিকবার। মিডল অর্ডারে অপরিহার্য মুশির জাত চেনানো হবে নাকি আরেকবার?
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০