মুহা. ইকবাল আজাদ।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে মুশফিক-সাকিবের ব্যাটিং পার্টনারশিপ চোখে পড়ার মতো। ক্রিকেটের তিন সংস্করণে তাদের জুটি দেশের হয়ে রেকর্ড বহন করে। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের কথা ক্রিকেটপ্রেমীরা নিশ্চয়ই মনে রাখবে। ওয়ালটনের সেই ম্যাচে মুশফিকের দেড়শো আর সাকিবের প্রথম দ্বিশতকে বাংলাদেশ করেছিলো ৫৯৫ রান। যার মধ্যে মুশি-সাকিবের জুটি থেকে আসে ৩৫৯ রান। টেস্ট ক্রিকেটের ৫ম উইকেট জুটিতে যা ছিলো চতুর্থ সর্বোচ্চ। গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ম উইকেট জুটিতে ঠিক ৩৫৯ রান করেই মুশিদের পাশে যেন বসলেন ইংল্যান্ডের বাটলার-ক্রোলি।
ওয়ালটনের প্রথম টেস্টে ১৬০ রানেই ৪ উইকেট হারায় মুশফিকের দল। সাকিবের সাথে ৫ম উইকেটে জুটি বাঁধতে মাঠে নামেন অধিনায়ক মুশফিক। সাকিবের অনবদ্য ডাবল সেঞ্চুরি আর মুশফিকের সহযোগিতায় বাংলাদেশ পায় ৩৫৯ রানের লম্বা জুটি। গতকালের সাউদাম্পটনের চিত্রটা অনেকটা তেমনই। দলীয় ১২৭ রানের মাথায় ৪ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। পরে ক্রোলির অনবদ্য আড়াইশো আর বাটলারের সেঞ্চুরিতে ৩৫৯ রানের দীর্ঘ জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। উভয়ই ম্যাচেই একজন প্রথম দ্বিশতক এবং অন্যজন দেড়শো রানের ইনিংস খেলেন। দু’ম্যাচেই দলের উইকেটরক্ষক মাঠে ছিলেন।
টেস্ট ক্রিকেটের ৫ম উইকেটে মুশি-বাটলারদের জুটির উপরে আর তিনটি জুটি আছে। ২০০১ সালে ভারতের ভিভিএস লক্ষ্মণ এবং রাহুল দ্রাবিড় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৭৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৮৫ রানের জুটি গড়েন অস্ট্রেলিয়ার ওয়াহ এবং ব্লিওয়েট। পঞ্চম উইকেটের সর্বোচ্চ জুটিটাও অস্ট্রেলিয়ানদের দখলে। ১৯৪৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন স্যার ব্র্যাডম্যান এবং বার্নেস।