মুহা. ইকবাল আজাদ, ক্রীড়া প্রতিবেদক।
লকডাউনে একাকীত্বের বোঝা টানতে হয়তো একটু বেগ পেতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। কিংবা লম্বা বিরতির এই সময়টাকে নতুন বন্ধনের কাজে লাগাচ্ছেন। তাই তো ক্রিকেট পাড়ায় বিয়ের ধুম পড়েছে। ঘরোয়া ভাবে শুভকাজ সারছেন অনেকেই। এই তো মোসাদ্দেকের দ্বিতীয় বিয়ে, নাজমুল ইসলাম শান্ত’র প্রণয়ের বন্ধন, অস্ত্রোপচারের কাটাকাটি থেকে উঠে আসা সাদমান ইসলাম অনিক সাম্প্রতিক বসছেন বড় দায়িত্বের পিঁড়িতে। জানা গেছে, ঘরোয়া ভাবে দুই পরিবারের সদস্যরা মিলেই সেরেছেন সাদমানের জীবনের শুভ কাজ।
২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক হয় সাদমানের। অভিষেক ম্যাচের প্রথম ইনিংসে অর্ধশতক করে নিজের দক্ষতার পরিচয় দেন। দেশের হয়ে মোট ৬টি টেস্ট খেলেছেন সাদমান। ২৫ বয়সী এই ওপেনার মাত্র ২৫ গড়ে করেছেন ২৭৫ রান। তবে প্রথম ইনিংসের পরে আর কোন বড় ইনিংস খেলতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান।
তাছাড়া ২০১৪ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাদমানের। সেখানে ৫৪ ম্যাচে ৪৫ গড়ে ৩৭১২ রান করেন এই ওপেনার। তবে পরিসংখ্যান হিসেবে তার ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিকের হিসাব আকাশ-পাতাল ব্যবধান। ক্রিকেটে টেস্ট সংস্করণ সাদমানের পছন্দের ফরম্যাট। টেস্ট দিয়ে আন্তজার্তিক ক্রিকেটের যাত্রা শুরু করতে পেরেছেন বলে অনেক রোমাঞ্চিত এই ক্রিকেটার।
নিশ্চয়ই, নতুন বন্ধনেও এমন রোমাঞ্চিত হবেন এই ক্রিকেটার। বিয়ে নাকি ক্রিকেটারদের মানসিক পরিপক্কতা বৃদ্ধি করে। দলের ড্যাশিং ওপেনার লিটন দাস এই কথা বারংবার বলেছেন। বিয়ের পরবর্তী লিটন তার ব্যাটিং পরিপক্কতার পরিচয়ও তুলে ধরেছেন। বিপিএলের সর্বশেষ আসর জয় করেছেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজে বলকে তুলোধুনো করেছেন। দেখার বিষয়, সাদমানের বেলায় খেলায় লিটনের মতো পরিপক্কতা আসে কি-না! নিজের হারানো ফর্মকে ফিরে পান কি-না!