মুহা.ইকবাল আজাদ,স্টাফ রিপোর্টার।
অনুর্ধ্ব১৯ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ দল। আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড অনুর্ধ্ব ১৯ দলকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত বাংলার যুবারা। ২০১৬ সালে সেমিফাইনালে খেললেও ফাইনালে কখনো খেলা হয়নি যুবা ক্রিকেটারদের। স্বপ্নের মতো শুরু করা এবারের আসরে অপরাজিত থেকেই ফাইনালে পৌঁছে আকবর আলীর দল।
আজ বাংলাদেশ সময় ২টা বাজে পচেফস্ট্রুমের সেনউইজ পার্কে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলতে নামে টিম বাংলাদেশ। শুরুতেই টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলার কাপ্তান আকবর আলী। আকবরের সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক প্রমাণ করতে বেশি সময় নেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। দলীয় ৫ রানে শামীমের অফব্রেক বলে বোকা বনে যান ওপেনার মারিউ। টুর্নামেন্টের ৫১ গড়ে রান করা নিউজিল্যান্ডের ধারাবাহিক এই ব্যাটসম্যান ফিরেন মাত্র ১ রান করে। শুরু থেকেই নিউজিল্যান্ডের রানের চাকা আটকে রেখেছেন শরিফুল-রাকিবরা। শরিফুল ৩টি, শামীম ও মুরাদ ২টি এবং রাকিবুল ১টি উইকেট নিতে সক্ষম হোন। পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করে কোনমতে দ্বিশতকের ঘর পার করেন নিউজিল্যান্ডের যুবারা। গ্রিন'লের ৭৫ এবং লিডস্টোনের ৪৪ রানে ভর করে ২১২ রানের টার্গেট দেয় টিম নিউজিল্যান্ড।
নির্দিষ্ট টার্গেট ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব ভালো করেনি বাংলাদেশ দল। দলীয় ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় আকবর আলীর দল। ড্যাশিং ওপেনার তামিম ব্যক্তিগত ৩ রানে মাঠ ছাড়েন। বেশি দেরি করেননি আরেক ওপেনার ইমন। পুরো টুর্নামেন্টে ছায়া হয়ে থাকা ইমনও বিদায় নেন দলীয় ৩২ রানে। এরপর ব্যাটিং ক্যারিশমা প্রদর্শন শুরু করেন তৌহিদ এবং জয়। দলের ডিপেন্ডেবল ব্যাটসম্যানখ্যাত তৌহিদ হৃদয় নিজের ভুলে কাটা পড়েন দলীয় শতরানের মাথায়। তৌহিদের আউটের কিছুক্ষণ পরেই ব্যক্তিগত অর্ধশত পূর্ণ করেন জয়। ফিফটির পরে ব্যাটকে যেন তলোয়ার বানিয়ে বলকে বাউন্ডারি ছাড়া করছিলেন জয়। ৯০ ঘরে এসে সাবধানী জয় ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেই মাঠ ছাড়েন। ততক্ষণে বাংলাদেশের জয় এক প্রকার নিশ্চিত বলা চলে। পরের ওভারে শাহাদাতের ব্যাটের ঝলকে আরও ১০ রান যোগ হয় বাংলাদেশের ঝুলিতে। শেষ ৬ ওভারে প্রয়োজন ছিলো মাত্র ১ রান। কাপ্তান আকবর গ্রিন'লের প্রথম বলটাকে বাউন্ডারি ছাড়া ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত, অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের ৪ বারের দেখায় ২-২ জয়ের সমতা ছিলো। ৫ম দেখায় নিজেদের উঁচু করে ধরলেন আকবর আলীর দল।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০