ইকবাল আজাদ, স্টাফ রিপোর্টার।
টানা ৩বার বিপ টেস্টে ব্যর্থ হয়েছিলেন ইয়াসির আলী চৌধুরী। ৩য় বার বিপ টেস্টে ১০.৮ পেলেও ছাড় পায়নি চট্টগ্রামের লোকাল বয়। ফলে মিস করেছেন ন্যাশনাল লীগের প্রথম রাউন্ড। ৪র্থ বারে ১১.১ পেয়েই তবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ফতুল্লায় নেমেছেন চট্টগ্রামের হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড খেলতে। বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যানের পুরো দিন কেটেছে সাবধানী ব্যাট চালনায়। ১২১ বলে ছুঁয়েছেন অর্ধশতকের ঘর। দিনশেষে ১৫২ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ওভার বাউন্ডারিতে অপরাজিত ৬৮ রান। যা চট্টগ্রাম বিভাগকে টিকিয়ে রেখেছেন লড়াইয়ের ছন্দে।
তামিম ছাড়া খেলতে নামা চট্টগ্রাম বিভাগ দলীয় ৫৪ রানে হারায় ওপেনার পিনাক ঘোষকে। ৭২ রানের মাথায় আশরাফুলের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন ক্যাপ্টেন মমিনুল হকও। ১৪৪ রানের মাথায় ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় চট্টগ্রাম। বাকিটা পথ সামাল দেন ইয়াসির আলী এবং উইকেট কিপার অঙ্কণ। ইয়াসিরের অপরাজিত ৬৮ ও অঙ্কণের অপরাজিত ৬৯ এ শেষের দিকে ১১৭ রানের ঝকঝকে পার্টনারশিপ গড়ে মমিনুলের দল। স্কোরবোর্ডে ২৬১ রান জমা করে প্রথম দিনের জন্য মাঠ ছাড়েন চট্টগ্রাম বিভাগ।
বিপ টেস্টে সিনিয়রদের ব্যাপারে কিছুটা বিবেচনা করলেও জুনিয়রদের নিয়ে অনড় ছিলেন বিসিবি। ফলে ইয়াসির আলী চৌধুরীকে একাধিক বার পরীক্ষা দিয়েই তবে মাঠে নামতে হয়েছে। খেলোয়াড়দের উন্নত ফিটনেস গড়ার লক্ষে ক্রিকেট বোর্ডের এই অসাধারণ উদ্যোগ। ‘উন্নত ফিটনেস উন্নতির মূলমন্ত্র’ ধরে নিয়ে সামনে আগাচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। অনুর্ধ্ব ২৩ এর হয়ে গত কয়েক ম্যাচে রান না পেলেও বিপ টেস্টে উত্তীর্ণ হয়ে রান পেয়েছেন ইয়াসির আলী। যা নিজেকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। উল্লেখ্য যে, পাঁজরের ইঞ্জুরির জন্য দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে ছিটকে চট্টগ্রামের লোকাল হিরো তামিম ইকবাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ-
চট্টগ্রাম বনাম বরিশাল
চট্টগ্রামঃ ২৬১/৪ (ইরফান ৫৭, ইয়াসির ৬৮*, অঙ্কণ ৬৯*)
বরিশালঃ
মনির হোসেনঃ ২৩-২-৭০-২
আশরাফুলঃ ৯-৪-১৫-১