মুহা. ইকবাল আজাদ, ঢাকা।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পঞ্চপাণ্ডবদের সাথে নতুন করে যোগ হচ্ছেন সৌম্য সরকার। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ৯৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে কথিত পঞ্চপাণ্ডবদের প্রত্যেকেই খেলেছেন ৫০ অধিক ম্যাচ। সিনিয়র পাঁচজন ছাড়া টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এই পর্যন্ত কেউই ৫০ ম্যাচ খেলতে পারেননি। আজকের ম্যাচে সৌম্য সরকার স্কোয়াডে থাকলে পঞ্চপাণ্ডবদের সাথে নতুন করে যুক্ত হবে সৌম্যের নাম। ৫০ ম্যাচের ক্লাবে সিনিয়রদের সাথে যোগ দিবেন সৌম্য সরকার।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (৮৬) খেলেছেন বর্তমান কাপ্তান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রিয়াদ থেকে ঠিক এক ম্যাচ কম খেলে মুশফিক আছেন দ্বিতীয় স্থানে। তামিম-সাকিব খেলেছেন যথাক্রমে ৭৮ এবং ৭৬ ম্যাচ। বিদায়ী মাশরাফিও কম নন। খেলেছেন ৫৪টি ম্যাচ। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান (১৭৫৮) করেছেন তামিম ইকবাল। সবচেয়ে বেশি উইকেট (৯২) পেয়েছেন সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ব্যাটিং অলরাউন্ডার সৌম্য এই পর্যন্ত ৪৯ ম্যাচে ১৮.৪০ গড়ে ব্যক্তিগত দুই ফিফটিতে করেছেন ৮৬৫ রান। বল হাতে ২৬ ওভারে ১০.৪২ ইকোনমিতে নিয়েছেন মাত্র ৬ উইকেট। ফিল্ডিংয়ে রয়েছে মূল্যবান ২৫টি ক্যাচ ধরার মাইলফলক।
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কর্তাদের 'ভুলে' প্রথম অকারণেই বাদ পড়েন সৌম্য সরকার। পরে আবার ভুল কাটিয়ে চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হন। নতুন তালিকায় সৌম্যর নাম জুড়েছে সিনিয়রদের সাথে। মূলত 'এ প্লাস' ক্যাটাগরিতে শুধুমাত্র ধারাবাহিক খেলোয়াড় বা সিনিয়রদের থাকা হতো। এবার সিনিয়র ছাড়াও প্রথম সারিতে নতুন করে ঢোকা হয় সৌম্য সরকারের। বলা যায়, বিয়ের পর পেশাদার জীবনে এটাই সৌম্যের সবচেয়ে বড় সম্মাননা কিংবা অর্জন। দেখার বিষয়, সিনিয়রদের সাথে দলভুক্তের সম্মাননা কতটা ধারাবাহিক করে সৌম্যকে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০