মুহা. ইকবাল আজাদ, ক্রীড়া প্রতিবেদক।
কথিত আছে, ‘উচিত কথা বাপের কোলে বসে কইতে হয়।’ এবার নীতির কোলে বসে সেই উচিত কাজটি সারলেন ক্রিস ব্রড। ম্যাচে অশোভন আচরণের দায়ে নিজের ছেলেকেই জরিমানা করলেন আইসিসির এই প্রবীণ রেফারি। নীতির বেলায় নিজের পরিবার বলে একটুও পিছপা হননি সাবেক এই ইংলিশ ক্রিকেটার।
ইংল্যান্ড-পাকিস্তান টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের সাথে বাজে আচরণ করেন স্টুয়ার্ড ব্রড। তাতে ম্যাচ ফি’র ১৫ শতাংশ জরিমানা করেন তার বাবা ক্রিস ব্রড। আইসিসির বিধি লঙ্ঘন করায় সাথে একটা ডিমেরিট পয়েন্টও ঢুঁকে দেন নিজের ছেলের নামের সাথে। এতে নীতিতে আপোষহীন আইসিসির এলিট রেফারি সততার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত গড়েন।
গত শনিবার, প্রথম টেস্ট ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের ইয়াসির শাহের সাথে বাজে অঙ্গভঙ্গি করেন স্টুয়ার্ড ব্রড। অশোভন আচরণের দরুন আইসিসির আচরণবিধির ২.৪ ধারা ভঙ্গ করেন ইংল্যান্ডের সদ্য পাঁচশো উইকেট শিকারী এই পেসার। তাতে ম্যাচ ফি জরিমানার পাশাপাশি নতুন ডিমেরিট পয়েন্টও যুক্ত হয়। তবে বাবার কাছে নিজের দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় নতুন করে শুনানির সম্মুখীন হতে হয়নি স্টুয়ার্ড ব্রডের।
গত দুই বছরে মোট ৩টি অপরাধ করেছেন ইংল্যান্ডের এই টেস্ট তারকা। পাকিস্তান ছাড়াও ২০১৮ সালে ভারতের সাথে এবং চলতি বছরে দক্ষিণ আফ্রিকা সাথে এমন বাজে আচরণ করেন ব্রড। প্রতিটি অপরাধের জন্যই তার নামের পাশে একটি করে ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত হয়েছে। এই নিয়ে মোট তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট লাভ করেন স্টুয়ার্ড ব্রড।