মুহা. ইকবাল আজাদ, ঢাকা
বিসিএলে নাইম হাসানের সাফল্যের দিনে শতক হাঁকিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। জাতীয় দলের টেস্ট স্পেশালিস্ট নাইম হাসান ইতিমধ্যে ৭ উইকেট পকেট পুরেছেন। ৩৫ ওভার বল করে ৩.০৫ ইকোনমিতে আদায় করে নিয়েছেন ৫টি মেইডেন ওভার। অবশ্য বিপিএল মাতানো হাসান মাহমুদ ৬ ওভার মেইডেনে নিয়েছেন ১ উইকেট। (চলমান)
আজ কক্সবাজার শেখ কামাল স্টেডিয়ামে বিসিএলের তৃতীয় বা শেষ রাউন্ড খেলতে নামে নর্থ জোন এবং ইস্ট জোন। নর্থ জোনের কাপ্তান নাইম ইসলাম টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি নাইম ইসলামদের। ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বাধীন ইস্ট জোনের বোলিং তোপে দলীয় ৪৬ রানে হারিয়ে বসে মূল্যবান তিনটি উইকেট। পরপর তিন উইকেট শিকার করে নিজের বুদ্ধিমত্তার জানান দেন চট্টলার সন্তান নাইম হাসান।
নর্থ জোনের শুরুটা খারাপ হলেও মাঝে ভালোই সামাল দেন নাইম-মুশফিক। অর্ধশত রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথে এগোচ্ছিলেন। তবে বেশিক্ষণ টেকেনি। কাপ্তান নাইম ইসলাম দলীয় ১০২ রানের মাথায় হাসান মাহমুদের বলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। কিন্তু এক প্রান্তে আগলে রাখেন মুশফিকুর রহিম। বিপরীত প্রান্তে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মাঝে নিজেকে অটল রেখেছেন। প্রতিপক্ষ বোলারকে শাসন করে তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত শতক। দলকে দিয়েছেন সম্মানের পুঁজি। প্রসঙ্গত, জাতীয় দলের মতো মুশফিক এখানেও ৫নং পজিশনে মাঠে নামেন।
নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তানে যাওয়া হয়নি মুশফিকের। ইনজুরির কারণে মিস করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগের প্রথম রাউন্ড। দ্বিতীয় রাউন্ডে নেমেও তেমন সাফল্য পাননি মিস্টার ডিপেন্ডেবল। প্রথম ইনিংসে ২ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৮ নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। তৃতীয় রাউন্ডে এসেই শতরান আদায় করে নিয়েছেন বাংলার লিটল মাস্টার।
মুশফিকদের সাথে আজ মাঠে নেমেছেন দীর্ঘদিন ইনজুরিতে ভোগা সাইফুদ্দিনও। লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন। খেলেছেন ২২ বল। তবে রানের খাতা না খোলার আগেই আবার ডাগ আউটের পথ ধরেছেন। সাইফুদ্দিন আবার নিজের ধারাবাহিকতায় ফিরবেন, এমনটাই প্রত্যাশা ক্রিকেট প্রেমীদের।