মুহা. ইকবাল আজাদ, ঢাকা।
টেস্ট দলের নবম তালিকায় অবস্থান করা বাংলাদেশ ঘরের মাটিতে দশম টেস্ট জয় করেছে। দীর্ঘ পনেরো মাস পরে পুনরায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচ জয় লাভ করে বাংলাদেশ। নবম তালিকার বাংলাদেশ, ১১৯টি টেস্ট খেলে এই পর্যন্ত জয় লাভ করেছে মোটে ১৪টি ম্যাচ। তার অর্ধেকটা আবার বর্তমান তালিকার একাদশ স্থানে অবস্থান করা জিম্বাবুয়ের সাথে। গত ১৭ বারের দেখায় ৭-৭ জয়ের সমতা নিয়ে সমান অবস্থানে আছে নিম্নসারির এই দুই দল।
‘বাংলাদেশ নিজের মাটিতে শক্ত প্রতিপক্ষ’-সংবাদ সম্মেলনে বিপক্ষ দল থেকে এমন কথা প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু টেস্টে বাংলাদেশ হয়তো জিম্বাবুয়ের জন্য সমানুপাতিক প্রতিপক্ষ। বাকিদের বিপক্ষে সাদামাটা দল। এমনকি নবাগত টিম আফগানিস্তানের সাথেও সাধারণ দলের ভূমিকায় ছিলো বাংলাদেশ। টেস্টে নিজের মাটিতে ৬৩ ম্যাচের বিপরীতে জয় মাত্র ১০টি। এর সিংহভাগ আবার এই জিম্বাবুয়ের সাথে। বাংলাদেশের টেস্ট আমেজ যে জিম্বাবুয়ে ছাড়া জমে না, আজকের ম্যাচই তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ।
গরীবের ‘আ্যশেজ’ শুরুর আগে কোচ সময় চেয়েছিলেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অসাধারণ কিছু হবে বলেও ব্যক্ত করেছিলেন। দলকে জিম্বাবুয়ে হিসেব করলে, মাঠকে স্পোর্টিং উইকেট ভাবলে, দুই-তিনজন ধারাবাহিক খেলোয়াড়ের পরিসংখ্যান হিসাব না করলে এবারও আহামরি কিছু করেনি টিম বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা যে হয়েই আসছে নিয়মিত। মাঝে মিথুনের ব্যাটিং দর্শককে বিরক্ত করেই ছাড়বে।
দিনশেষে বাংলাদেশ ৬ ম্যাচ পরে জিম্বাবুয়ের সাথে জয়ের দেখা পেয়েছে। নিত্যকারের মতো, মুমিনুল আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন। কোচও হয়তো নিম্নস্তরের দল নিয়ে একটু কাজ করতে আগ্রহ পাবেন। এবার দেখার বিষয়, আগত পাকিস্তানের বিপক্ষে এই আত্মবিশ্বাস কতটা কাজে লাগাতে পারে বাংলার বাঘেরা।