মুহা. ইকবাল আজাদ, ঢাকা।
গত ম্যাচেই তামিম নিজেকে টপকে নামের সাথে নতুন রেকর্ড যোগ করেছিলেন। দীর্ঘ এক দশক রেকর্ড হয়ে থাকা তামিমের ব্যক্তিগত রেকর্ড নিজেই ভেঙে আরও চার রান বাড়িয়েছেন। তামিম কি নিজেও চিন্তা করেছেন পরবর্তী ম্যাচে তার লালিত রেকর্ডকে কেউ টপকে যাবেন? হয়তো করেছেন কিংবা করেননি। তবে তামিমকে কেউ একজন টপকেছেন। চিন্তা ছেড়ে এটাই আসল বাস্তবতা।
কিছুদিন আগেও ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান ছিলো ১৫৪। বুলওয়াতে ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন ওপেনার তামিম ইকবাল। গত ম্যাচে ১৫৪কে মাড়িয়ে তামিম নতুন করে রেকর্ড গড়েছেন। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান ১৫৮ করেই মাঠ ছেড়েছেন। কিন্তু এক ম্যাচ পরেই তামিমকে টপকে শীর্ষে চলে যান লিটন। ব্যক্তিগত ১৭৬ রানে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ত্যাগ করেছেন। ততক্ষণে অর্জন করেছেন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের শীর্ষস্থান। কাপ্তান ম্যাশের বিদায়ের দিনে এর চেয়ে বড় উপহার কী-বা হতে পারে!
গত এনসিএল ম্যাচে তামিম ৩৩৪ রানের দীর্ঘ ইনিংস খেলেছেন। মুশফিক বলে রেখেছেন, সুযোগ পেলে তিনি তামিমের রেকর্ডটি ভাঙতে চাইবেন। গত সংবাদ সম্মেলনে তামিমও স্বীকার করেছেন, তামিম রেকর্ড ভাঙতে মুশফিক প্রথম উত্তরসূরী। সাথে দুটো নামও যোগ করেছেন। শান্তের সাথে সেই নামে ছিলেন লিটনও। তামিমের এমন বাচ্য হয়তো লিটনকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। পরবর্তী আন্তর্জাতিক ম্যাচেই লিটন পেরিয়েছেন এক ধাপ, পৌঁছেছেন ব্যক্তিগত রানের শীর্ষ মাইলফলকে।
২০১৫ সালে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে লিটনের অভিষেক হয়। শুরুটা তেমন ভালো কাটেনি লিটনের। অফফর্মেই কেটেছে লিটনের দিন। খারাপ খেলেছেন। দল থেকে বাদ পড়েছেন। ঘরোয়া লীগে ভালো করেছেন। ম্যানেজমেন্ট আবার সুযোগ দিয়েছেন। মাঝে কত শত সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। ভার্চ্যুয়াল জগতে বিভিন্ন ধরনের উপাধি পেয়েছেন। তাতেও ভেঙে পড়েননি মিস্টার সিক্সটিন। দিন যত যাচ্ছে, লিটন যেন ততই পরিনত হচ্ছেন। ম্যাচের শুরুতে ২৮ গড়ের লিটন ইনিংস শেষে ৩১ গড়ে অবস্থান করছেন। পরিনত লিটন সর্বত্র ধারাবাহিকতা বজায় রাখুক, এটাই ক্রিকেট প্রেমীদের একান্ত প্রত্যাশা।