মুহা. ইকবাল আজাদ, ক্রীড়া প্রতিবেদক।
জিম্বাবুয়ের উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলর মাশরাফিকেই বাংলাদেশের সর্বসেরা অধিনায়ক হিসেবে মানছেন। গতকাল বিখ্যাত ক্রিকেটীয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর এক সাক্ষাৎকারে এই কথা জানান। তিনি মাশরাফিকে বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক বলার পাশাপাশি ম্যাশকে আরও কিছুদিন খেলা চালিয়ে যেতে আহবান করেন। ক্রিকেট মাঠে মাশরাফির লড়াকু মনোভাবকেও প্রশংসিত করেন।
২০০৪ সালে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক হয় টেইলরের। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর জাতীয় দল ছেড়ে কাউন্টি খেলতে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান টেইলর। এরপর জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের সমঝোতায় ২০১৮ সালে আবার জাতীয় দলে ফিরে আসেন। সর্বশেষ বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ খেলেন ব্রেন্ডন টেইলর। অধিনায়ক হিসেবে যা ছিলো মাশরাফির সর্বশেষ ম্যাচ। একজন কিংবদন্তী অধিনায়কের বিদায়ী ম্যাচে থাকতে পেরে আনন্দিত অনুভব করেছেন বলে জানিয়েছেন টেইলর। মাশরাফিকে নিয়ে টেইলর বলেন,
কিছুদিন আগেই আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছি, যখন মাশরাফি অধিনায়ক হিসেবে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছিলো। একজন বিজয়ী অধিনায়কের বিদায়ী মুহূর্ত আমাকে পুলকিত করেছে। নিঃসন্দেহে মাশরাফি বাংলাদেশের সবচেয়ে সেরা অধিনায়ক। খেলার মাঠে এক লড়াকু সৈনিক। মাশরাফির বিপক্ষে আমি অনেক ম্যাচ খেলেছি। সে একাধিক বার আমার উইকেট পেয়েছে। সে সবর্দা চ্যালেঞ্জের জন্য মুখিয়ে থাকে। আমি আশা করবো, মাশরাফি আরও কিছুদিন তার খেলা চালিয়ে যাবে।
২০১৪ সালে অধিনায়ক হিসেবে দলে আবির্ভাব হয় নেতা মাশরাফির। এর আগে ২০১০ এ দায়িত্ব পেলেও দীর্ঘ মেয়াদী অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করেন ২০১৪ এর জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে। অধিনায়কত্বের ইতিও টেনেছেন গত জিম্বাবুয়ে সিরিজে। একজন দলপতি হিসেবে মোট ৮৮ ম্যাচের নেতৃত্বে জয়ের অর্ধশত মাইলফলক স্পর্শ করেন ম্যাশ। নেতার গুণে পাল্টে যায় গোটা সমাজ। মাশরাফির গুণে আমূল পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। ২০১৫ সালের পর থেকে পৃথিবী দেখেছে ক্রিকেট বিশ্বের নতুন বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে প্রথম বারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমিফাইনাল, একাধিক বার এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ পৌঁছেছে মাশরাফির নেতৃত্বে। হয়তো এজন্যই নেতা মাশরাফি সকলের চোখে সর্বসেরা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০