মুহা.ইকবাল আজাদ,
ক্রীড়া প্রতিবেদক।
জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশের দিনগুলো ভালো যাচ্ছে না। দীর্ঘ ৯ বছর পরে আক্রমনাত্মক জিম্বাবুয়ের কাছে ওয়ানডেতে ধরাশায়ী হলো বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতেও প্রথমবারের মতো রাজাদের কাছে সিরিজ হেরেছে লিটন-রিয়াদেরা। তবে এত ব্যর্থতার মাঝে খেলোয়াড়দের টুকিটাকি মাইলফলক অর্জন হচ্ছে। লিটন তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৫০০০ রান পূর্ণ করেছেন। ওয়ানডেতে তামিম স্পর্শ করেছেন ৮০০০ রানের মাইলফলক।
গতকাল হাসান মাহমুদের বলে দুইটি ক্যাচ ধরে ওয়ানডেতে মুশফিকও উইকেটের পেছনে ২০০ ক্যাচ ধরার খাতায় নাম লিখিয়েছেন।
উইকেটের পেছনে মুশফিকের ক্ষীপ্রতা গড়পড়তা মানের। তবুও বাংলাদেশের হয়ে দীর্ঘদিন উইকেট কিপিং করছেন। টেস্টে ও টি-টোয়েন্টিতে গ্লাভস জোড়া জমা রাখলেও ওয়ানডেতে সানন্দে গ্লাভস হাতে নামেন।
২০০ ক্যাচের পাশাপাশি ৫০ স্টাম্পিংসহ ২৫০ ডিসমিসালের মালিক মুশফিকুর রহিম।
ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সাঙ্গকারা, গিলগ্রিস্ট, ধনী, বাউচার এবং মইনের খানের পরেই থাকছে মুশফিকের নাম। তবে ক্যাচ ধরায় এরা ছাড়াও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম থাকছেন মুশফিক থেকে এগিয়ে। স্টাম্পিংয়ের তালিকায় মুশফিকের অবস্থান ৫ম। অবিশ্বাস্য স্টাম্পিংয়ের জন্য খ্যাত মহেন্দ্র সিং ধোনি আছেন তালিকার শীর্ষে।
ইনিংস প্রতি ডিসমিসালের তালিকার উপরে অবস্থান করছেন এডাম গিলগ্রিস্ট। প্রতি ইনিংসে ১.৬৮ গড়ে ক্যাচ কিংবা স্টাম্পিং করেছেন। দ্বিতীয় থাকা মার্ক বাউচারও প্রায় দেড় গড়ে ডিসমিসালের মালিক। তবে শীর্ষ দশে থাকা উইকেট কিপারের মধ্যে সবচেয়ে কম গড় মুশফিকের। মাত্র ১.১৩ গড়ে ক্যাচ কিংবা স্টাম্পিং করেছেন বাংলাদেশের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।