রাফিউল ইসলাম রাব্বি, রংপুর ব্যুরো:
চিরপ্রতিদ্বনদ্বী ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে মাঠেই উল্লাসে ফেটে পড়ে আর্জেন্টিনা। আর সেই উল্লাস স্টেডিয়ামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে সেইভাবে আনন্দ ও উল্লাস করতে না পারলেও থেমে থাকেনি রংপুরের অলি-গলি। আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা বাঁশি, পতাকা ও মটরসাইকেল নিয়ে উল্লাস করেছে পাড়ায় পাড়ায়।
লকডাউনও যেন দমিয়ে রাখতে পারেনি আর্জেন্টিনার সমর্থকদের। নগরীর অলিতে-গলিতে বাঁশি ও মোটরসাইকেল নিয়ে মিছিলে উল্লাস করেছেন ভক্তরা।
রোববার (১১ জুলাই) সকালে কোপা আমেরিকা ফাইনালের শেষ বাঁশি বাজতেই সমর্থকরা বাঁশি বাজিয়ে উল্লাস করে আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা। বিভিন্ন এলাকা থেকে শিশু, কিশোর, যুবকেরা ছোট-বড় পতাকা নিয়ে আনন্দ খন্ড খন্ড মিছিল করে।
নগরীর নিউ ইঞ্জিনিয়ার পড়া, সেনপাড়া, শাপলা চত্তর, কাচারী বাজার, ঠিকাদার পাড়া, শালবন, পাকপাড়া, তাঁতিপাড়া, রাধাবল্বভ, সিও বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেছে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা।
কাচারী বাজার এলাকায় কথা হয় আবির হায়দার, আরদিস, আকাশ, বকুল, কাল্লু, বর্ষণ ও বিশালের সঙ্গে। তারা বলেন, আর্জেন্টিনা কাপ নিতে পারবে না, এর আগে ব্রাজিলের সমর্থকরা অনেক কটু কথা বলেছে। আর্জেন্টিনা কাপ নিতে পারবে না, এর আগে ব্রাজিলের সাথে খেলে হেরেছে এমন অনেক কথা। এবার সেই কথার সঠিক জবাব দেওয়া হয়েছে জয়ের মধ্যদিয়ে। বিজয়ের শেষ বাঁশি বাজতেই অনেকেই ঘর থেকে বাহিরে ছুটে আসে। করোন ভাইরাসের কারণে পাড়ার মধ্যেই আমরা কেউ পতাকা, কেউ বাশি নিয়ে বের হই। পরে আমরা মিছিল করে বাড়ি ফিরে যাই।
শাপলা এলাকায় কথা হয় মহাসিন নামের এক আর্জেন্টিনা সমর্থকের সঙ্গে। তিনি বলেন, কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছি। আনন্দ আর ধরে রাখতে পারিনি। তাই কিছু সময়ের জন্য বেরিয়ে এসেছি। বাশিঁ বাজিয়ে সকলে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।
সেনপাড়া এলাকায় কথা হয় আর্জেন্টিনার আরএক সমর্থক আরিফ আলীর সাথে। তিনি জানান, ছোট থেকেই আর্জেন্টিনাকে ভালোবাসি। তবে ব্রাজিলের সমর্থকরা অনেক বড় বড় কথা বলেছেন। এখন তাদের দেখা নেই। ২৮ বছরের কষ্ট ঘুচলো এই শিরোপার মধ্য দিয়ে। এদিকে ব্রাজিলকে হারিয়ে শিরোপা বিজয় হওয়ায় দৈনিক দাবানল অফিসে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা মিষ্টি বিতরণ করেন।
রাফিউল ইসলাম রাব্বি / নিউজ ভিশন