মুহা. ইকবাল আজাদ
ফেভারিট হিসেবে এশিয়া কাপে যাত্রা শুরু করেছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট টিম। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ হারলেও গ্রুপ পর্বের বাকি ম্যাচগুলোতে প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে শাসন করেছিলেন। কিন্তু আসরের শেষ ম্যাচে ফেভারিটের তকমা ধরে রাখতে পারেনি বাবরের দল। গতকাল ফাইনাল ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সাথে ২৩ রানে হেরে এশিয়া কাপের রানার্সআপ হয় পাকিস্তান। অবশ্য নিজের ব্যর্থতায় এই হারের দায় নিচ্ছেন সহ-অধিনায়ক শাদাব খান। এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সাথে চারবারের দেখায় এই নিয়ে তিনবার হারে রমিজ রাজার উত্তরসূরিরা।
ফাইনাল ম্যাচে টসে হেরে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অধিনায়ক বাবর আজম। প্রথম ওভারে ইনফর্ম ব্যাটসম্যান কুশাল মেন্ডিসকে বোল্ড করে আস্থার প্রতিদান দেন নাসিম শাহ। ম্যাচের চতুর্থ ওভারে নিশানকাকে আউট করে ম্যাচ জমিয়ে তোলে হারিস রউফ। পরপর বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কা। ম্যাচের ১০ ওভারে মাত্র ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরে অনেকে পাকিস্তানের জয় দেখে বসেছিলেন। তবে শ্রীলঙ্কা তারপর থেকে একটু নড়েচড়ে বসে। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ভানুকা রাজাপাকশে এবং হাসারাঙ্গার জুটিতে ৩৬ বলে ৫৮ রান পায় শ্রীলঙ্কা। সপ্তম জুটিতে ৩১ বলে ৫৪ রান করে ভানুকা এবং চামিকা। ম্যাচ শেষে ১৭০ রানের একটা ফাইটিং টোটাল পায় শানাকার দল।
শ্রীলঙ্কার পুরো মোমেন্টাম ধরে রাখেন ভানুকা রাজাপাকশে। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে একাই অপরাজিত ৭১ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। তবে শ্রীলঙ্কা কিংবা ভানুকার এত রান হওয়ার পেছনে রয়েছে শাদাব খানের অবদান। সেট ব্যাটসম্যান রাজাপাকশের পরপর দুটো ক্যাচ ছেড়েছেন পাকিস্তান দলের সেরা ফিল্ডার শাদাব খান। ম্যাচ শেষে নিজের ব্যর্থতাও মেনে নিয়েছেন শাদাব। ম্যাচ হারের দায় নিজের কাঁধে নিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, "ক্যাচ মিস আমাদের ম্যাচ মিসের কারন। আমিই আমার দলকে ডুবিয়েছি এবং এর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ম্যাচ হারের দায়ভার একান্তই আমার।"
ম্যাচ হারলেও টুর্নামেন্টে কিছু পজিটিভ দিক খুঁজে পেয়েছেন সহ-অধিনায়ক শাদাব খান। তিনি আরও বলেন, "আমরা এই আসর থেকে কিছু ইতিবাচক দিক পেয়েছি। রিজওয়ান ভাই পুরো টুর্নামেন্টে তার সেরাটা দিয়েছেন। নাসিম, হারিস এবং নেওয়াজয়ের বোলিং দুর্দান্ত ছিলো। পুরো দলই তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।"
পাকিস্তান টুর্নামেন্টের নিজেদের শুরুর ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে গেলেও হংকংকে নাস্তাসনাবুদ করে সুপার ফোরে উঠে। শেষ চারের প্রথম ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে উড়ন্ত সূচনা করে পাকিস্তান দল। আফগানিস্তানের সাথে হারতে বসা ম্যাচে শেষ ওভারে পরপর দুই ছক্কা মেরে নায়ক বনে যান নাসিম শাহ। ম্যাচ জিতেই ফাইনাল নিশ্চিত করেন পাকিস্তান। তবে নিজেদের বাজে ফিল্ডিং আর ব্যাটিংয়ের জন্য ফাইনাল ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০