
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় রাখার আহবান জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯ তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় উপাচার্য এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, আমাদের স্ব স্ব জায়গায় থেকে স্বাধীনতার শক্তির পক্ষে কাজ করতে হবে। যাতে করে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে। এর মাধ্যমেই শোকাবহ পরিবেশের মধ্য দিয়ে শেখ রাসেলের যে জন্মদিন পালন করছি তার প্রতিশোধ নেয়া হবে এবং তার প্রতি মূল্যায়ন করা হবে।
"বঙ্গবন্ধু তার জীবনের যৌবনের ১৩-১৪ বছর কাটিয়েছেন কারাগারে। তিনি রাজা বাদশাদের মতো বিলাসী জীবন-যাপন করতে পারতেন, কিন্তু করেন নাই। তিনি অল্প সংখ্যক নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে ছিলেন। কারণ তিনি এদেশের মানুষকে বিশ্বাস করতেন।"
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে যে মেগাপ্রকল্প চলছে এগুলো যদি সম্পন্ন হয় তাহলে দেশ অন্য এক উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। কিন্তু এগুলো যদি কোনো কারণে বন্ধ হয়ে যায় তাহলে দেশ অনেক পিছিয়ে যাবে।
“বর্তমানে সো কলড সিভিল সোসাইটি এমনকি মানবাধিকার সংগঠনসহ বিরোধীদলীয় নেতারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগ করে দেশকে যেন পিছিয়ে নেয়া যায় সেই ষড়যন্ত্র করছে। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা নষ্ট করার মতো। এই যে মানবাধিকার নিয়ে কথা হচ্ছে। কিন্তু কোথায় ছিলো মানবাধিকার যখন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়?”
এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবন বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেলের নাম নামকরণ করার জন্য উপাচার্যের নিকট আহবান জানান কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের তো বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে। নতুন একাডেমিক ভবনের যেহেতু কোনো নাম দেওয়া হয়নি বঙ্গবন্ধু পরিবারের স্মৃতি হিসেবে তাঁর ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের নামে করা উচিত বলে মনে করছি। তাহলে তাঁর রক্তের ঋণ আমরা কিছুটা হলেও শোধ করতে পারবো।’
আলোচনা সভায় রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম লুৎফর রহমান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শাহজাহান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান। এসময় বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষকবৃন্দ, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরাসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ক্যাম্পাসে স্থাপিত মুজিব মঞ্চে শেখ রাসেল-এর প্রতিকৃতিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধুর সাথে নরপিশাচরা নির্মমভাবে তাকেও হত্যা করেছিল। তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০