——–
জি.এম টুটুল,সিরাজগঞ্জ থেকে —
সিরাজগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জন্য নির্ধারিত ৩০ শতাংশ কোটা বাতিলসহ ছয় দফা দাবিতে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। বৃহস্পতিবার ( ২০/৩/২০২৫) দুপুরে ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাস থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে স্বারকলিপি প্রদান করার মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈষম্যের অবসান ঘটানোর দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাঁদের দাবি, গত মঙ্গলবার সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ৩০ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জন্য, যা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য বড় ধরনের বঞ্চনা সৃষ্টি করবে।
সিভিল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ শেখ বলেন, “জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদটি সবসময় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য বরাদ্দ ছিল। কিন্তু আদালতের রায়ে নন-টেকনিক্যালদের জন্য কোটা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা চরম বৈষম্যের শামিল। আমরা এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানাই, অন্যথায় আরো কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবো।”
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি হলো:
1️⃣ জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর (টেক) পদে কেবলমাত্র ডিপ্লোমা প্রকৌশল ডিগ্রিধারীদের নিয়োগ দিতে হবে।
2️⃣ ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরসহ দেশের সব কারিগরি পদে কেবলমাত্র কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
3️⃣ কারিগরি শিক্ষার প্রসার বাড়াতে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।
4️⃣ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে।
5️⃣ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে।
6️⃣ বেসরকারি খাতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য ন্যূনতম বেতন কাঠামো নির্ধারণ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবিগুলো পূরণ না হলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনের দিকে যাবে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সময় পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।