
আল মাহমুদ বিজয়, রাবি:
মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে তরুণ ভোটারের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। স্কুল কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়া শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এসব ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে এবারের নির্বাচনে। নির্বাচনকে সামনে রেখে তরুণদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ দেয়ায় নতুন করে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার ১৯৩টি ভোট বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় নির্বাচন নিয়ে তরুণ এই ভোটার মধ্যে উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি তীব্র অসন্তোষও দেখা গেছে। ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ায় এবারের নির্বাচন অনেকটা একপাক্ষিক হওয়ার কথাও বলছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এসব তরুণ ভোটাররা আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আসলেই কী ভাবছেন? এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ ফাহির আমিন বলেন, ' তরুণ ভোটার হিসেবে ভোট দেওয়ার জন্য আমার মনে খুবই উচ্ছ্বাস ও আনন্দ রয়েছে। স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে ভোট দিতে পারব বলে নিজেকে নিয়ে গর্বিত মনে হচ্ছে। ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব কেমন হবে তাও আমরা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন করতে পারব। তবে মনের মধ্যে অনেকটা উৎকন্ঠাও আছে। কারণ দ্বাদশ জাতীয় এ নির্বাচনে আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা নেই এবং বর্তমানে দেশে ভোট দেওয়ার মতো অতটা সুষ্ঠু পরিবেশ আছে বলে আমার মনে হয় না। তাছাড়া প্রতিদিনকার নিউজ দেখলে বোঝা যায় ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার মতো নিরাপত্তাও নেই।
নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার ঝর্ণা বলেন, ' নতুন ভোটার হিসেবে ভোট দিতে পারব এজন্য মনের মধ্যে একটা উত্তেজনা কাজ করছে। কিন্তু আমি যাকে ভোট দিচ্ছি সে আসলে কতটুকু শিক্ষিত। তার স্বশিক্ষিতর যে জায়গাটা সেটা দেশের জন্য কোন উপকারে আসবে না কি দেশের আরো ক্ষতি হবে আমাদের সে বিষয়টা চিন্তা করে ভোট দেওয়া উচিত। এবং দলীয় জায়গা থেকে সে কতটুকু সচল সেটা অবশ্যই দেখাটা জুরুরি।'
উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, '২০১৪, ১৮ ও সামনের ২৪ সালের যে নির্বাচন এটা আসলে নির্বাচনের নামে একটা সার্কাস। বর্তমানে যারা ক্ষমতাসীন দল আছেন তাদের দ্বারাই সতন্ত্র প্রার্থী সৃষ্টি, ডামী প্রার্থী সৃষ্টি এবং তারাউ বিরোধী দল সৃষ্টি করে এরকম একটা নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এটা আসলে অংশগ্রহনমূলক কোন নির্বাচন না, এই নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।'
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়দ সাকিব বলেন, ' আসন্ন এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারব বলে আমি অনেক বেশি আনন্দিত এবং উচ্ছ্বসিত। তবে বিরোধী দল ও ভিন্ন মতাদর্শের দলগুলো অংশগ্রহনের মাধ্যমে নির্বাচনটা আরও প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ হতে পারত। তারপরও যেহেতু আমি আমার এলাকায় প্রথমবারের মতো জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দিতে যাবো তাই আমার কাছে আনন্দ লাগছে।'
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০