আলো চৌধুরী
প্রতিটি নতুন জিনিসকেই উৎকৃষ্ট মনে হয় কিন্তু বন্ধুত্বের কাছে এই নিয়ম খাটে না, বন্ধুত্ব যতই পুরাতন হয়,ততই হয় উৎকৃষ্ট আর দৃঢ়। বন্ধুত্ব নিয়ে এর চেয়ে নিখাত বাক্য আর কি হতে পারে ! সত্যি বলতে বন্ধুত্ব হল এমন এক নির্মল সম্পর্কের নাম যার কাছে জীবনের অনেক কিছুই শেয়ার করা যায়, যাকে বিশ্বাস করা যায়, যার সাথে সময় কাটালে শুধু ভালোই লাগে না, জাগরিত হয় অনিন্দ্য কিছু বিশেষ অনুভূতি। সেই বন্ধুত্ব যাতে আজীবন টিকে থাকে সেই লক্ষ্যে ২০০৯ ও ২০১১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা গঠন করেন “দি ইনভিন্সিবল ৯/১১”।
আজ সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এই টিমের সদস্য সাইফ, নাজিম খান, সজল, মুমু, আতিক, আরিফ, জাহানুর এক আড্ডায় মিলিত হন। টিএসসির ঝাল চা, দুধ চা আর লাল চায়ের চুমুতে তাদের আড্ডা চলে বেশ সময় ধরে। এই মাঝে একে অপরের সাথে পরিচিত হন তারা। এতেই জানা হয় কে বেকার আর কে জব হোল্ডার। প্রত্যাশিতভাবেই চায়ের বিল চাকরিজীবীরাই প্রদান করেন। চায়ের চুমুক শেষ হলে সোপার্জিত স্বাধীনতা চত্ত্বরে আড্ডা চলে আরো কিছুক্ষণ। মুমু ততক্ষণে পথ ধরে নারায়ণগঞ্জের পথের। বাকীরা আরো কিছুক্ষণ থেকে স্কুল ও কলেজ লাইফে ফেলে আসা মধুর কিছু গল্প একে অপরের সাথে ভাগাভাগি করে নেন। আরিফ ও আতিক, নাজিম যেন গল্পের ঝাপি খুলে বসে।গল্প আর গল্প। সবাই ক্ষণিকের জন্য ফিরে যায় ২০০৯ ও ১১ সালে। অবস্থাটা এমন দাঁড়ায় যে আজ বন্ধুরা একত্রিত হয়েছে, আজকের সন্ধ্যাটা এভাবেই কাটবে। বিশ্ববিদ্যালয়জীবন পাড়ি দিতে গিয়ে বন্ধুত্বের পরিধিটা কম বড় হয়নি তাদের ! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে তার ব্যাপকতা বেড়ে হয়েছে আরও কয়েক গুণ। তারপরও তাদের কাছে এসএসসি ও এইচএসসির বন্ধুত্ব এখনো চিরসবুজ। আজকের আড্ডাতেও ছিল তারই প্রতিফলন।