
রাবি প্রতিনিধি:
পৃথিবীতে শুদ্ধতম সম্পর্কের নাম মা। মমতাময়ী যে মা অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। দেখিয়েছেন সুজলা-সুফলা সৌন্দর্যে ভরা এই দেশ, এই পৃথিবী। যেই মা বুঝাতে শিখিয়েছেন এই জীবনের অর্থ কি! সেই মা আজ মরণব্যাধি রোগে আক্রান্ত।
হেপাটোসেলুলার কার্সিনমা নামক লিভার ক্যান্সার এ আক্রান্ত মাকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী বিষ্ণু সরকার । তার মা নমিতা রানি সরকার হেপাটোসেলুলার কার্সিনমা নামক লিভার ক্যান্সার এ আক্রান্ত। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, 'তার দ্রুত উন্নত চিকিৎসা করতে হবে। চিকিৎসা করতে প্রায় ৮ লাখ টাকা খরচ হবে। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এই চিকিৎসার ব্যয় বহন করা অসম্ভব। তাই দেশের মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়েছেন অসহায় বিষ্ণু পরিবার।
বিষ্ণুর বাসা পটুয়াখালী জেলার পটুয়াখালী সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামে। মা ও এক ভাইকে নিয়ে তার পরিবার। তার বাবা জুরান চন্দ্র সরকার মারা যান ২০১৭ সালে। তার ভাই নাম কৃষ্ণ সরকার চাকরি করেন সল্প বেতনের একটি বেসরকারি কোম্পানিতে।
নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক ড. মো. আতাউর রহমান রাজু বলেন, "পৃথিবীতে শুদ্ধতম সম্পর্কের নাম মা। ছেলেটা ২০১৭ সালে ওর বাবাকে হারিয়েছে। বর্তমানে এই পৃথিবীতে আপন বলতে একমাত্র ওর মা ই আছে। ওর মা না হয়ে যদি ভাইও হতো তাহলে আমার এতটা খারাপ লাগতো না। বিষ্ণুর মায়ের জন্য আমি নিজে যতটুকু সম্ভব সাহায্য করেছি। আমার বন্ধুদেরকেও সাহায্য করার জন্য বলছি। ছাত্রদের বলছি প্রতি বিভাগে গিয়ে যতটুকু সম্ভব কালেকশন করা যায় তা করো। নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরাও বিষ্ণুর জন্য অনেক কষ্ট করতেছে। "
বিষ্ণু সরকার জানান, " দীর্ঘদিন ধরে তার মা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। ২০২০ সালে পটুয়াখালিতে চিকিৎসার সময় ফ্যাটি লিভার ধরা পড়ে ।ডক্টর এর নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধ চলমান ছিল। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের জুলাই মাসের শুরুতে আবার ও অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকাতে নিয়ে আসা হয় । ডক্টর এর নির্দেশনায় বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ধরা পড়ে portal vein thrombosis ডক্টর কিছু ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন এবং দুই মাস পরে আবার চেক আপ এর জন্য আসতে বলেন । অক্টোবর মাসে পুনরায় অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় পুনরায় ঢাকায় নিয়ে এসে ডক্টর কে দেখানো হয় এবং ডক্টর এর নির্দেশনায় আবার অনেক গুলো টেস্ট করানো হয় ।চলতি নভেম্বর মাসে লিভার FNAC টেস্ট করে হেপাটোসেলুলার কার্সিনমা নামক লিভার ক্যান্সার ধরা পড়ে । তখন থেকে এ পর্যন্ত তার মায়ের পিছনে ব্যয় হয় প্রায় দেড় লাখ টাকা।
বিষ্ণু বলেন, ২০১৭ সালে আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি। বাবাকে হারানোর পর এই পৃথিবীতে আমার মা ই আমার সব কিন্তু সেই মাও আজ মরণব্যাধি রোগে আক্রান্ত। জানিনা সৃষ্টিকর্তা আমার উপর এ কেমন পরিক্ষা নিচ্ছেন! মাকে চিকিৎসা করার জন্য আমার বাবার রেখে যাওয়া সবটুকু দিয়েই চেষ্টা করছি। লিভারের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাহিরে নিতে হবে। চিকিৎসার জন্যে খরচ হবে আনুমানিক ৮ লাখ টাকার মতো।"
চিকিৎসা ব্যয় সীমার বাইরে চলে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অসহায় এই পরিবার। মাকে বাঁচাতে তাই সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন সন্তানেরা। এখন পর্যন্ত আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ১ লাখ টাকার তারা ম্যানেজ করতে পেরেছেন। কিন্তু চিকিৎসা সম্পন্ন করতে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষে এই চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। তাই তাদের মায়ের চিকিৎসার জন্য সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন । যে যা পারেন তা দিয়েই সাহায্য করলে বিষ্ণু হয়তো ফিরে পাবেন তার মাকে।
বিষ্ণু সরকার 01533766067 (বিকাশ, নগদ, রকেট)
কৃষ্ণ সরকার
একাউন্ট নাম্বার: 266-158-2347
ডাচ বাংলা ব্যাংক, গোপালগঞ্জ ব্রাঞ্চ
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০