রাবি সংবাদদাতা:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) হলের বারান্দার তৃতীয় তলা থেকে পড়ে গুরুতর আহত এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকদের দায়িত্বের অবহেলা ও ট্রলিবয়দের দুর্নীতি কারণে দেরি হওয়ার অভিযোগ তুলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন করছেন রাবি শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে রামেকের মূল ফটকের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান। এসময় দায়িত্বে অবহেলার সাথে জড়িত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গায়ে যারা হাত তুলেছেন তাদের বহিষ্কারের জন্য ১ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমার ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসকরাই দায়ি। তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। এর সাথে যারা জড়িত তাদের বহিষ্কার না হলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিক্ষার্থী মিলে এ আন্দোলনকে বেগবান করে তুলবো। আমরা রামেক প্রশাসনকে ১ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি এর মধ্যে জড়িতদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। এসময় শিক্ষকসহ আন্দোলনে প্রায় পাঁচশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর বলেন, আমার ছাত্রের মৃত্যু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমি শিক্ষার্থীদের নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমার শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলার কারণ না জানা পর্যন্ত এ আন্দোলন চলমান থাকবে।
তবে আমার শিক্ষার্থীরা রামেকের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের গায়ে হাত তুলবে না এটা আমি সকলকে আশ্বস্ত করছি।
এর আগে বিলম্ব করে এসে চিকিৎসকরা রাবি শিক্ষার্থীকে মৃত ঘোষণা করলে এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড ও পরিচালকের কক্ষের সামনের অংশে ভাঙচুর চালান শিক্ষার্থীরা। এসময় রাবির প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে এমজিএম শাহরিয়ার নামের এক ছাত্র গুরুতর আহত হয়। পরে শিক্ষার্থীরা রামেকে নিয়ে আসলে চিকিৎসকদের অবহেলায় মৃত্যু বরণ করেন বলে এ অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলমান ছিল।##