রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলে আবাসিক শিক্ষার্থীদের পরিচালনায় ডাইনিংয়ে মেস সিস্টেম চালু হবার ৩ দিন পর একই সিস্টেম চালু হয়েছে পাশ্ববর্তী শাহ্ মখ্দুম হলে। খাবারের গুণগত মান নিশ্চিত করতে চালু হওয়া এ পদ্ধতিতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খাবার দেওয়ার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শিক্ষার্থীরা টেবিলে টোকেন সংগ্রহ করে খাবারের জন্য অপেক্ষা করছে। কিছু সময় পর শুরু হয় খাবার পরিবেশন। দীর্ঘদিনের পর শিক্ষার্থীদের পরিচালনায় খাবার খেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় খেতে আসা শিক্ষার্থীদেরকে। প্রভোস্টকে উদ্দেশ্য করে শিক্ষার্থীরা বলেন খাবার খুবই ভালো হয়েছে স্যার, এমন খাবার আগে কখনো হয়নি। এটা চলমান থাকলে হলের খাবারের আর সমস্যা থাকবে না।
বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় হলটিতে মেস সিস্টেম উদ্বোধন করেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন ।
শিক্ষার্থীরা প্রথম দিনের খাবার খেয়ে বলছেন, ডাইনিংয়ে আগে যে খাবার দেওয়া হতো তার চেয়ে অনেকগুণ ভালো ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। স্বাদ ও মানও অনেকটা ভালো। আজকের মেন্যুর মাছ, ডাল, সবজির বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, মাংসের যে পিচ দিয়েছে সেটি যথেষ্ট বড় ছিল, যা বাইরে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইখলাস উদ্দিন খান বলেন, আগের তুলানায় সবজি, ভাতের চাল, মাংস সবকিছুর পরিবর্তন হয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে খাবারের স্বাদও। এ সিস্টেম ব্যবস্থা যদি দীর্ঘসময়ের জন্য বহাল থাকে তাহলে আবাসিক শিক্ষার্থীদের যে খাবারের সমস্যা ছিল সেটি অনেকটা লাঘব হবে।
আরেক শিক্ষার্থী আমির হামজা বলেন, এমন একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেওয়ার জন্য প্রভোস্ট স্যারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রথমদিন মেস সিস্টেমের খাবার খেয়ে সন্তুষ্ট হয়েছি। খাবারের মান অনেক অনেক ভালো ছিল। আগে মাংসের যে পিচ দেওয়া হতো তার চেয়ে তুলনামূলক বড় সাইজের মাংস ছিল। রান্নার স্বাদও অতুলনীয়।
জানা যায়, বাজার পরিচালনার জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ম্যানেজারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ম্যানেজার প্রতিদিন লিস্ট করবে কারা কোন দিন বাজারে যাবেন। পূর্বনির্ধারিত খাবারের তালিকার অনুযায়ী বাজার করবেন তারা। এই পদ্ধতিতে দুপুর ও রাতের খাবারের মূল্য ৩০ টাকা করে নির্ধারিত হয়েছে। আগের দিনের ইস্যুকৃত টোকেন ছাড়া কাউকে খাবার দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়।
এ বিষয়ে শাহ মখদুম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন বলেন, “মেস সিস্টেম চালুর বিষয়ে আমরা অনেক দিন আগে থেকেই চিন্তাভাবনা করেছিলাম। আমীর আলী হলে ক্যাটারিং সিস্টেম চালু হবার পর আজকে আমাদের হলেও চালু হলো শিক্ষার্থীদের পরিচালনায় মেস সিস্টেম। শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমন সাড়া পাওয়া যাবে ভাবতে পারি নাই। ডাইনিংয়ের খাবারের নিয়ন্ত্রণ শিক্ষার্থীদের কাছে থাকবে। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা স্বল্পমূল্যে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের সুযোগ পাক। সেক্ষেত্রে আমি সকল সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ছাত্রসংগঠনগুলোর সহযোগিতা চাই।