আল মাহমুদ বিজয়, রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আগত বরিশাল বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত সংগঠন বরিশাল ডিভিশন স্টুডেন্টস্ ফোরাম (বিডিএসএফ)। বিডিএসএফ মানেই অন্যরকম চিন্তাভাবনা, নতুন কিছু করার মানসিকতা। একটি বিভাগের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে নিয়ে এমন পরিবারের মতো গঠিত সংগঠন ক্যাম্পাসে অদ্বিতীয়টি নেই।
কিছুদিন পরপরই এই সংগঠনটির সদস্যদের নিয়ে নতুন কিছু আয়োজন করা যেন এ পরিবারটির চিরচায়িত ঘটনা। তারই ধারাবাহিকতায় ক্যাম্পাসের বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. কুদরত-ই-খুদা ভবনের ঠিক সামনে অবস্থিত হবিবুর রহমান মাঠে শনিবার (১৮ মে) তারা চড়ুইভাতি ও শের-ই-বাংলা স্মৃতি শর্ট পিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। এর পাশাপাশি ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ, হাড়িভাঙা, গান, বক্তব্য, কবিতাসহ বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনটির উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নেছার উদ্দিন বলেন, ২০১১ সাল থেকে বিডিএসএফের পদচারণা শুরু হয় মতিহারের এই সবুজ চত্বরে। বিডিএসএফ শুধু একটি সংগঠন নয়, রাবিতে এটি বরিশাল থেকে আগত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি পরিবার। বরিশাল থেকে আগত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়ে মতিহারের এই সবুজ চত্বরে বিডিএসএফ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের সবার হাত ধরেই বিডিএসএফ একদিন চলে যাবে শতবর্ষে।’
সংগঠনটির সভাপতি তাওহীদ হাসান সজীব বলেন, আমার মনে হচ্ছে আমি পরিবারের সাথে একটা দিন সময় কাটিয়েছি। দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগ থেকে প্রতিবছর প্রায় অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাদের একঘেমিয়েতা কাটানোর জন্য এবং তাদেরকে পরিবারের মতো আগলে রাখার জন্য ও তাদের সবাইকে একসূত্রে গাঁথার জন্য এবং বরিশাল ডিভিশন স্টুডেন্টস্ ফোরামের সকল সদস্যদের একসাথে নিয়ে একটি আনন্দঘন ও বিনোদনের পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য আমরা এই ক্রিকেট টুর্নামেন্টেের আয়োজন করেছি। এবং আয়োজন শেষে আমরা চড়ুইভাতির আয়োজন করেছি।
তিনি আরও বলেন, বাংলার বাঘ খ্যাত শের ই বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্মৃতিচারণে "শের-ই-বাংলা স্মৃতি শর্ট পিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট" এর আয়োজন করেছি। এতে করে সবাই যেমন আমরা একসাথে হতে পেরেছি এবং সবার সাথে সবার পরিচিত এবং কমিনিউকেশনের সৃষ্টি হয়েছে। এবং আমাদের এই আয়োজন শতভাগ উপস্থিতি ছিল। আমরা আশা করছি ভবিষ্যতেও আমরা এইরকম আরো বড় বড় প্রোগ্রামের আয়োজন করবো এবং শের ই বাংলার স্মৃতিবিজড়িত বরিশালের নাম সবার মাঝে ছড়িয়ে দিব।
আল মাহমুদ বিজয়
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০