আব্দুর রহিম, রাবি :
আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সৈয়দ আমীর হলে এক শিক্ষার্থীকে পেটালো ছাত্রলীগ নেতা।
নেতাদেরকে না জানিয়ে হলে ওঠায় শিক্ষার্থীকে মারধর করাহয় বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাজেদুল করিম রাবির আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের অধ্যায়নরত। অন্যদিকে অভিযুক্তরা হলে শাখা ছাত্রলীগের উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক হাসান মো. তারেক, ছাত্রলীগকর্মী আল-আমিন এবং হৃদয় সাহা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বলেন, সে আমীর আলী হলের ৩২৯ নম্বর রুমে তার বন্ধু আলী মুরশেদ সজীবের সঙ্গে থাকছেন। হল প্রাধ্যক্ষকে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মেস থেকে হলে আসবাবপত্র নিয়ে আসলে ছাত্রলীগ নেতা তারেক জানতে পারে। তারেক সাজেদুলের কাছে কার মাধ্যমে হলে ওঠেছে জানতে চায় এবং রাতে তার রুমে গিয়ে দেখা করতে বলে। কিন্তু সাজেদুল তার রুমে না যাওয়ায় আজ (শনিবার) দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মী আল-আমিনের মাধ্যমে ডেকে পাঠায়। সাজেদুল তারেকের রুমে যাওয়ার পর কেন হলে উঠেছে জিজ্ঞাস করেই অভিযুক্তরা তাকে মারধর শুরু করে।
সাজেদুল করিম বলেন, আমার মোবাইলের রেকর্ডিং চালু ছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে তারা আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। আমার মোবাইল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ছিল সেগুলো ডিলিট করে দেয়। তাকে জোরপূর্বক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিলে নেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করে সাজেদুল।
মোবাইল রেকর্ডিং আগে থেকেই চালুর করার কারণ জানতে চাইলে সাজেদুল বলেন, আমার মনে হয়েছিল আমাকে ডেকে মারধর কিংবা চাঁদা দাবি করতে পারে সেজন্য আমি মোবাইলে রেকডিং চালু করে রেখেছিলাম।
তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে হাসান মো. তারেক বলেন, সাজেদুল এই হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থী। সে হল প্রভোস্টকে না জানিয়ে হলে থাকছে। বিষয়টি জানতে পেরে তাকে ঢেকে নিয়ে জানতে চেয়েছি কার মাধ্যমে হলে উঠেছে। এসময় সাজেদুলের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তার মোবাইলটি দিতে বলি। দিলে দেখি মোবাইল রেকডিং চালু করা, তাকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম বলেন, সাজেদুলকে হলে সিট দিতে তার বিভাগে একজন শিক্ষক আমাকে অনুরোধ করেছিল। এরপর সাজেদুল আমার সঙ্গে দেখা করতে আসলে আমি তাকে লিখিত আবেদন করতে বলেছি। সিট খালি হলে তাকে ব্যবস্থা করে দিবো বলি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০