

-অভিভাবকদের সাধুবাদ!
সৌরভ, মাদারীপুর সংবাদাতা--
প্রতিটি মূহূর্তে গ্রামে শিক্ষার্থীদের দিনে বা রাতে মুঠোফোনে বা পায়ে হেঁটে শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিচ্ছেন এই দুই তরুন মেধাবী শিক্ষক হামিদুর রহমান ও ইকবাল মাহমুদ (খন্ডকালিন) ।
তাঁরা মাদারীপুর সদর উপজেলায় এক সনাম ধন্য তাঁতিবাড়ী ইসলামিয়া উঁচ্চ বিদ্যালয়ের দুই উদ্যাম পরিশ্রম মেধাবী শিক্ষক হামিদুর রহমান ও ইকবাল মাহমুদ। মহামারী করোনা ভাইরাসে স্কুল দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে তাঁদের পড়ালেখার খোঁজ খবর রাখার জন্য দিন রাত্র মনিট্রিং করে যাচ্ছে!!
জানতে চাইলে শিক্ষকরা বলেন বলেন-
" ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখার মনিট্রনিং কাজ এখনো চলমান থাকবে। এরা আমাদের সন্তানদের মতো,এরা মানুষের মতো মানুষ হওয়া আমাদের জীবনের লক্ষ্য"! ঘরের মধ্য বসে নাই এই তরুন দুই শিক্ষক।
খুব সর্তকতার সাথে ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে Covid-19 সম্পর্কে অবগত করেন। তাঁদের এই সুন্দর মহৎ উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ সাধুবাদ জানায়।
এ স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাম খন্দকার জিয়াউর রহমান সুমন। তাঁর সুনাম রয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে। তিনি তাঁতিবাড়ী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রথম যোগদান করেন সহকারী শিক্ষক গণিত সাবজেক্ট হিসাবে। তারপর শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।
স্কুলের যোগদান করার পর থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে খুব কঠোর পরিশ্রম করে শিক্ষা আহরণের কাজ করতেন। এখনো তার স্কুলটি জেলার মধ্য খুব সুনামের সাথে পরিচিত হয়ে আসছে। এই স্কুলে অনেক শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন পাবলিক, জাতীয়, প্রাইভেট, মেডিকেল, ডিপ্লোমা বিশ্ববিদ্যালয় সনাম ধন্য সাবজেক্ট নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পড়ালেখা করছে, কেউ সরকারী বড় কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্বরত আছে।
বাবা-মায়ের পর শিক্ষকই যে ছাত্রের কাছে দ্বিতীয় পিতা বা মাতার মর্যাদায় আসীন হন তার মূলে রয়েছে ছাত্রের জীবনে শিক্ষকের বিশেষ ভুমিকা।
ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কে ক্ষেত্রে শিক্ষকের ভুমিকা বিশেষ কার্যকর হলেও ছাত্র -শিক্ষক উভয়ের ভুমিকা ও অবস্থানের ওপর ওই সম্পর্কের প্রকৃতি নির্ভর করে এবং সম্পর্কটি মধুর ও পবিত্র হলে তার ভিত্তিতেই ছাত্রের ভবিষ্যৎ জীবন সার্থক ও মহিমান্বিত হয়ে ওঠে।
এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট গণিত শিক্ষক (খন্ডকালিন) মোঃ হামিদুর রহমান এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন -
অতীত কাল থেকে ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কের মধ্যে একটি পরম আন্তরিকতার সুর ধ্বনিত হয়। ছাত্ররা জ্ঞান আহরণে জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গমন করে। শিক্ষার্থীরা জ্ঞানার্জনের প্রস্তুুতি ও আগ্রহ নিয়া শিক্ষকের শরণাপন্ন হয়। নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক অত্যন্ত আন্তরিকতায় জ্ঞানদানে প্রবৃত্ত হন। আগ্রহী ছাত্রের কাছে নিজের মন উজাড় করে দিতে শিক্ষকের কোনো কার্পণ্য নেই। এক্ষেত্রে শিক্ষক যথেষ্ট পরিশ্রমী, ধৈর্যশীল, ও অধ্যবসায়ী হয়ে শিক্ষার্থীর মনের খোরাক মেটাতে সচেষ্ট হন। শিক্ষক তাঁর মেধা দিয়ে শিক্ষার্থীর মনে প্রচন্ড কৌতূহল জাগিয়ে তোলেন।
গণিত (খন্ডকালীন)শিক্ষক ইকবাল মাহমুদ বলেন-
দেশ ও জাতির বড় সম্পদ হচ্ছে তার জনগোষ্ঠী। এই জনগোষ্ঠীকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে না পারলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব না। তাই শিক্ষিত হলে দরকার পরিশ্রম। কেননো "পরিশ্রম সৌভাগ্য প্রসূতি"।। এই লগডাউনে শিক্ষার্থীদের ঘরে বসে বিনোদন করে সময় কাটিয়ে দিলে এক সময় পড়ালেখার হিমসিম খাবে। প্রত্যেক অভিভাকের একটি দায়িত্ব আপনার সন্তানকে একটু পড়ালেখার পিছোনে একটু সময় দিন। সন্তানদেন সাথে ভালো ব্যবহার করুন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০