নিজেস্ব প্রতিবেদক
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘তর্কযুদ্ধ’ নামে এক বিতর্কের আয়োজন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। বিতর্কের মোশন ছিল – ‘এই সংসদ (বাংলাদেশ) মনে করে আঞ্চলিক ভাষা চর্চায় মনোযোগহীনতা ভাষার ভবিষ্যৎ বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে।’
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে আয়োজিত হয় এ বিতর্ক। সরকার দলের পক্ষে ছিলেন জান্নাতি খাতুন, ইয়ামিন সাদাত ও মো. মেহেদী হাসান। অন্যদিকে, বিরোধী দলে ছিলেন মো. জাকির হোসেন, সামিউল হোসেইন সামি ও মো. শাহরিয়াজ আহমেদ। বিতর্কের বিচারক ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক কিশোর সাম্য।
এই তর্কযুদ্ধে বিজয়ী হয় সরকারি দল ও সেরা বিতার্কিক হিসেবে নির্বাচিত হোন ২০২৩-২৪ সেশনের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো: শাহরিয়াজ আহম্মদ।
বিচারক কিশোর সাম্য বলেন, ভাষার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভাষা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি জরুরি একাডেমিক ও গবেষণায় এর ব্যবহার এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। সরকার যদি বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও তাত্ত্বিক ক্ষেত্রে নিজস্ব ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত না করে, তবে তা শক্তিশালী হতে পারে না। উদাহরণস্বরূপ, চীন কোডিং থেকে শুরু করে সর্বত্র চীনা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করেছে, যা তাদের ভাষাকে বিশ্বমঞ্চে শক্ত অবস্থান দিয়েছে। আমাদের ক্ষেত্রেও একই রকম প্রচেষ্টা নেওয়া উচিত।
আয়োজন সম্পর্কে জবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-মুখপাত্র সিয়াম হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস শুধু ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন নয়, বরং ভাষার বিকাশ ও বহুমাত্রিক ব্যবহারের উপলক্ষ। এ বিতর্ক আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ভাষা ও ভবিষ্যৎ বিকাশের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি করা। আঞ্চলিক ভাষা সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষা করলেও অতিমাত্রায় চর্চা ভবিষ্যৎ বিকাশে বাধা হতে পারে কি না, তা এই বিতর্কের মাধ্যমে অনুসন্ধান করা হয়েছে। আশা করি, এ আয়োজন নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে সহায়ক হবে।