মো:তাওহিদুল ইসলাম শিশির, বুটেক্স প্রতিনিধি
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) জিএমএজি ওসমানী হলে একজন শিক্ষার্থীর টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। চোরকে শনাক্ত করার পর জানা যায় সে ওসমানী হলের ক্যান্টিনের একজন কর্মচারী। তার নাম ফাহিম এবং বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানায়। চুরির ঘটনাটি ঘটে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১০:৪৫টায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকালে ফাহিমকে ক্যান্টিন থেকে হল প্রভোস্ট রুমে নিয়ে আসা হয় এবং ২ ঘন্টা যাবৎ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের সে কিছু স্বীকার না করায় সন্ধ্যা ৭:৩০টার দিকে হলের শিক্ষার্থীরা তাকে গণপিটুনি দেয়। একপর্যায়ে সে স্বীকার করে যে সে চুরি করেছে। তার কথার উপর ভিত্তি করে টাকা ও মানিব্যাগটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বুটেক্সের ৪৫তম ব্যাচের ওয়েট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম তাকি বলেন, ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে ওসমানী হলের মসজিদে তাবলীগের জোড় ছিলো। তাই আমি ও আমার বন্ধু রাত ১০:৪৫টার সময় সেখানে যাচ্ছিলাম। এক পর্যায় খেয়াল করলাম আমার পকেটে মানিব্যাগটি নেই। চারিদিকে খোঁজার পর যখন পেলাম না তখন রাতে বিভিন্ন মেসেঞ্জার গ্রুপে এটি নিয়ে মেসেজ দেওয়া হয়। মানিব্যাগটি হারানোর সময় মানিব্যাগ দশ হাজার টাকা ছিল। সকাল ১০:০০টায় ওসমানী হলের প্রভোস্টের কাছে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখার জন্য আবেদন করি। বিকাল ৪টায় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখার অনুমতি পেলে ফুটেজের মাধ্যমে আমরা চোরকে শনাক্ত করতে সক্ষম হই।
এ বিষয়ে ওসমানী হলের হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. সাইদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানার পর আমি হলে আসি এবং সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজটি দেখি। ফাহিমকে শনাক্ত করার পর তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করি। প্রথমে সে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে সে বিষয়টি স্বীকার করে এবং টাকা ও মানিব্যাগটি ফেরত দেয়। অতঃপর আমি ও ছাত্ররা মিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি তাকে হল থেকে বের করে দেয়া হবে। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ না থাকলে এসব কিছুই সম্ভব হতো না। পুরো হল সিসিটিভি নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় আগের তুলনায় বর্তমানে হলে চুরিসহ নানা অনিয়ম প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বুটেক্সের হলগুলোতে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর আগে অনেক চুরির ঘটনা ঘটতো এবং তার সাথে সাথে মাদকের দৌরাত্ম দেখা যেত। বর্তমানে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকার কারণে এসব সমস্যা অনেকাংশে কমে গিয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০