বিএম কলেজ প্রতিনিধি:-
আজ (১৭ জুন) বিকেল ৩টায় সরকারি বিএম কলেজের ফ্লাইট সার্জেন্ট ফজলুল হক ( মুসলিম) হল এর পশ্চিম ব্লকের পরিত্যক্ত রুম থেকে সমাজকর্ম চতুর্থ বর্ষের মাইনুল ইসলাম নামের এক আবাসিক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ।
মোঃ মাঈনুল ইসলাম উক্ত হলের ১৩৪ নাম্বার রুমে থাকতেন । তিনি সরকারি বিএম কলেজের সমাজকর্ম বিভগের (১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের) অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তার বাসা- হিজলা থানার বাউশিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুর রহিম হাওলাদার। রুমমেটরা জানান, তারা ৩ ভাই এবং ৩ বোন, মাঈনুল ইসলাম ভাই বোনদের মধ্যে ছোট ছেলে।
কি কারণে মারা গেলো এ-ব্যাপারে কেউ কোনো সঠিক তথ্য দিতে পারছেন না।
রুমমেট মোঃ বশির উদ্দিন জানান, মাইনুল ইসলাম দীর্ঘদিন বাড়িতে ছিলেন গত ১৫ জুন বাড়ি থেকে আসেন। ১৫ তারিখ বিকেলে ৪ টার দিকে রুমে ঘুমাতে দেখে আমিও ঘুমাই, আমি ৬ টা বাজে ঘুম থেকে উঠে দেখি মাইনুল ইসলাম রুমে নাই । ওই দিন রাতে আর রুমে আসে নাই। দেখা যেত প্রায় সময় রুমে আসতেন না বন্ধুদের বাসায় থাকতেন এ কারণে আমরা ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করিনি কেন আসে নাই ।
কি কারণে আত্মহত্যা করলেন এই ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন মাইনুল ইসলাম একটা প্রেমের সম্পর্ক করতেন সম্পর্কের মাঝে প্রায় সময় সম্পর্কে ঝগড়াঝাঁটি হত । এক পর্যায়ে মেয়েকে বিবাহের প্রস্তাব দিলে মেয়ে রাজি না হওয়ায় মাইনুল ইসলাম কে অনেক হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় দেখা গেছে।
মুসলিম হলের রাতুল ইসলাম জানান, মাইনুল ভাই চঞ্চল স্বভাবের ছিল খুবই ভালো মানুষ ছিল তবে এবার বাড়ি থেকে আসার পরে মাইনুল ভাইকে চুপচাপ এবং মন-মানসিকতা খারাপ দেখা গেছে ।
মুসলিম হলের শিক্ষার্থী রাকিব জানান, মাইনুল ইসলামের ফ্যামিলির আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না ওর পরিবারে সবসময় অভাব-অনাটন লেগেই থাকত। তবে মাইনুল ইসলাম কি এই কারণে আত্নহত্যা করেছেন না নাকি ওকে হত্যা করা হয়েছে এই ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আমরা কিছু জানতে পারিনি।
বি এম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড গোলাম কিবরিয়া জানান, মোঃ মাইনুল ইসলাম আত্নহত্যা করেছেন না কি হত্যা করা হয়েছে আমরা এই ব্যাপারে অবগত নই এবং এখন পর্যন্ত কোন সঠিক তথ্যও আমরা জানতে পারিনি তবে মাইনুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে তদন্ত শেষ হলে আমরা বলতে পারব হত্যা নাকি আত্মহত্যা। যদি হত্যা করা হয় তাহলে হত্যার সাথে জড়িত সবার বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিবো।