ক্যাম্পাস প্রতিনিধি-তাওহীদ জিহাদ
২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষায় দেশব্যাপী শীর্ষস্থানীয় ফলাফল অর্জন করেছে গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। তবে ধারাবাহিকভাবে প্রথম স্থান অর্জন করতে না পারায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে কিছুটা হতাশাও দেখা দিয়েছে।
এ বছর টঙ্গী শাখা থেকে মোট ৭৭৬ জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৪৮৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৬২.২৩ শতাংশ। পাশের হার ৯৮.৫৮ শতাংশ, ফেল করেছে মাত্র ১৪ জন শিক্ষার্থী। এ ফলাফল প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষাগত মান ও একাডেমিক পরিবেশের উৎকর্ষতারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ফাহিম আল বিরুনী বলেন, "জিপিএ-৫ অর্জনে শিক্ষকদের অবদানই সবচেয়ে বড়। তাদের প্রচেষ্টাতেই এ সাফল্য সম্ভব হয়েছে।"
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. হিফজুর রহমান বলেন, "এই ফলাফল শিক্ষকদের নিষ্ঠা, শিক্ষার্থীদের পরিশ্রম এবং অভিভাবকদের সদিচ্ছারই ফসল। এ অর্জন আমাদের ভবিষ্যতের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। তবে এই সাফল্য পথচলার শুরু মাত্র। আমাদের সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা ও চারিত্রিক গুণাবলির উৎকর্ষ সাধনের দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে।"
ফলাফল ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল আনন্দ ও আত্মবিশ্বাসের দীপ্তি, যা মাদ্রাসা শিক্ষার ভবিষ্যৎকে আশাব্যঞ্জক করে তোলে। তবে প্রথম স্থান অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় কিছুটা হতাশাও বিরাজ করেছে।
তা’মীরুল মিল্লাত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের জেনারেল সেক্রেটারি সাইদুল ইসলাম বলেন, "ফলাফলে অবনতি অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা তৈরি হয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে প্রথম স্থান অর্জনকারী আমাদের প্রতিষ্ঠান এবার দ্বিতীয় স্থানে নেমে এসেছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও পাশের হারেও হ্রাস দেখা যাচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য মাদ্রাসা শিক্ষার মান আরও উন্নত করতে হবে। একাডেমিক দিক থেকে মনোযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে সমন্বয় ঘটানো এখন সময়ের দাবি।"
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০