ক্যাম্পাস প্রতিনিধি - তাওহীদ জিহাদ
গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসায় ‘জুলাই বিপ্লব’ বিরোধী মন্তব্য এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথিত যোগাযোগের অভিযোগে মারধরের শিকার হয়েছেন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রাতুল হোসাইন। বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুরো ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
রাতুল গাজীপুরের তারগাছ এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ রয়েছে, সে ফেসবুকে ‘জুলাই’ বিপ্লববিরোধী পোস্ট এবং মেসেঞ্জার গ্রুপে উসকানিমূলক ও অশালীন মন্তব্য ছড়ানোর পরিকল্পনায় জড়িত ছিল। পাশাপাশি ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে তার যোগাযোগ থাকার কথাও উঠে এসেছে।
বিষয়টি জানাজানি হলে বিকেলে মাদ্রাসার শরীয়ত উল্লাহ হলের একটি কক্ষে তাকে আটকে রেখে মারধর করেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (টাকসু) নেতারা উপস্থিত হয়ে রাতুলকে উদ্ধার করেন এবং হোস্টেল সুপারের কক্ষে নিয়ে যান। পরে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়।
ঘটনাস্থলে পৌঁছান টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান। তিনি শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন এবং রাতুলকে পুলিশ হেফাজতে নেন। তবে পুলিশের গাড়িতে তোলার সময়ও উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করে, এতে তার মাথায় আঘাত লাগে এবং রক্তপাত হয়।
ঘটনার সময় টাকসুর ভিপি ইকবাল কবির, জিএস সাইদুল ইসলামসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আলিম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাওহীদ জিহাদ জানান, “সে ‘জুলাই’ বিরোধী গ্রুপ খুলে পরিকল্পিতভাবে অশালীন মন্তব্য ছড়াতে চেয়েছে—এটা সাধারণ শিক্ষার্থীরা মেনে নেয়নি।”
অভিযুক্ত ছাত্রের মা নুরজাহান ইসলাম বলেন, “আমার ছেলে ছোট, সে না বুঝে কিছু করে থাকতে পারে। ওকে বুঝিয়ে বললে হতো, এভাবে মারধর করা ঠিক হয়নি।”
ওসি ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, “পরিস্থিতি খুব স্পর্শকাতর ছিল। আমরা সময়মতো উপস্থিত হয়ে তা নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিফজুর রহমানের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০