মো. জাহানুর ইসলাম :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বদাই মুখরিত থাকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণায়। দিনের বেলা শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত থাকে ক্লাস আর পড়াশোনা নিয়ে, কিন্তু সন্ধ্যা হলেই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন চত্বরে, ক্লাবে তারা হাজির হয়ে মেতে উঠে আড্ডা, গল্প-গানে। সবাই প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করে। লোকমুখে একটি কথা খুবই প্রচলিত দিনের চেয়ে নাকি রাতের ক্যাম্পাস অনেক সুন্দর। তাইতো আমরা একদিন বিভিন্ন বিভাগ ও বর্ষের কয়েকজন রাতের ক্যাম্পাস উপভোগ করার মনস্থির করি।যেই চিন্তা সেই কাজ। দিনের সকল কর্মব্যস্ততাকে ছুটি দিতে নিঃশব্দে আগমন ঘটে রাতের। ফয়সাল ভাই, তুহিন ভাই, অনিক, সাজিদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজি জহিরসহ আমরা বেশ কয়েকজন রাতের ক্যাম্পাস দেখতে বের হই। অপরাজেয় বাংলা, সামাজিক বিজ্ঞান চত্ত্বর, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, হাকিম চত্ত্বর ঘুরাঘুরি শেষে হাজির হই টিএসসিতে । আকবর ভাই, জাফরিনা আপু, সোহেল ভাই ও মাসুম ভাই আমাদের সাথে যোগ দেন। সেদিন জাফরিনা আপুর জন্মদিন হওয়ায় সবাই মিলে আপুর বার্থডে সেলিব্রেট করি সেখানেই। রাত যখন সাড়ে ৭ টায় তখন ক্যাম্পাসের নতুন রুপ চোখে ধরা পড়ে। দেখতে পাই, রাতের ক্যাম্পাস প্রতিক্ষণে জেগে উঠছে নতুন সাজে, নতুন রূপে, আবার সবকিছু পাল্টেও যাচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে সময়ের আবর্তনে।ক্যাম্পাসের এই বিচিত্র রূপ আমাদেরকে মুগ্ধ করে।
টিএসসি থেকে বের হয়ে সদলবলে রাস্তা ধরে হাঁটতে থাকি। রাস্তার দু’পাশে জ্বলে উঠা নিয়ন বাতির আলো চোখ পড়ে, নিয়ন বাতির আলো চোখ ঝলসে না দিয়ে বৃক্ষের শাখা-পল্লবের সাথে মেতে উঠে আলো-আঁধারি খেলায়। যা শুধু দেখতেই মন চাচ্ছিল বারবার । আমরা অনাবিল শান্তি অনুভব করি। রাত ৯টার দিকে শামসুন্নাহার হলের সামনে ফুসকা, চটপটির স্বাদ আস্বাদন করি। সাথে নিজেদেরকে ক্যামেরা বন্দিও করি। রাত ৯ টা বেজে ৩০ মিনিট। এবার হলে ফেরার পালা। আর এভাবেই শেষ হয় আমাদের রাতের ক্যাম্পাস দেখা।