নিজস্ব প্রতিনিধি
ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য পদত্যাগ করা ভিসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবদুর রশীদের অব্যাহতির দাবিতে অসহযোগ আন্দোলন ঘোষণা করেছেন তার নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিভাগীয় অফিসে তালা ঝুলিয়ে ও প্রতিবাদী ব্যানার টাঙিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
তাদের টাঙানো ব্যানারে লেখা হয়, স্বৈরাচারের দোসর, নজিরবিহীন দুর্নীতিবাজ, আনফেয়ার নিয়োগের জনক, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য পদচ্যুত ভিসি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক আব্দুর রশিদের অব্যাহতির দাবিতে শিক্ষার্থীদের এই অসহযোগ আন্দোলন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, আগামী রোববার বেলা ১১টার মধ্যে অধ্যাপক আবদুর রশিদ স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ না করলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিবেন না বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিভাগটির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্বৈরাচারের পৃষ্ঠপোষকতা করা, দুর্নীতি ও নিয়োগে অনিয়ম, শিক্ষার্থীদের সাথে স্বেচ্ছাচারী আচরণ ও নারীঘটিত বহু অভিযোগ রয়েছে এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে।
ঢাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান আল ফাহাদ বলেন, অ্যালামনাই ও সকল শিক্ষার্থীর সম্মতিক্রমে অসহযোগ আন্দোলনের আহ্বান করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আমরা ডিপার্টমেন্টের অফিসের দরজায় ব্যানার ও তালা ঝুলিয়ে সিল গালা করে দিয়েছি। আগামী রোববার বেলা ১১টার মধ্যে আব্দুর রশিদ স্যার স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ না করলে আমরা আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আব্দুর রশিদের অব্যাহতির পূর্বে কোনোক্রমেই ডিপার্টমেন্টের অফিসে কোনো ধরনের কার্যক্রম চলবে না। আমাদের বাকি দাবিগুলো আদায়ের পূর্বে আমরা কোনো শিক্ষার্থী ক্লাসে ফিরে যাব না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগটির আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমি যখন প্রথম বর্ষে ছিলাম তখন এক দিন স্যারের ক্লাসে এটেন্ডেন্স নেওয়ার সময় আমার ক্লাস রোলটি বুঝতে পারিনি, তাই এটেন্ডেন্স দিতে একটু দেরি হয়। পরবর্তীতে যখন দাঁড়িয়ে বিনয়ের সাথে এটেন্ডেন্স দেওয়ার অনুরোধ করলাম, তিনি দেননি। বরং আমাকে ওনার পুরো ক্লাসের সময় দাঁড় করিয়ে রাখেন। এইটুক ভুলের কারণে অনার্স পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থীর সাথে এমন আচরণ করাটা অপমানজনক। সেদিন নিজেকে অনেক ছোট মনে হয়েছিল।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সানাউল্লাহকে একাধিকবার কল দিলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।