ক্যাম্পাস প্রতিনিধি :
“মন চায় উড়তে, চলো যাই ঘুরতে” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে গ্রীন ভয়েস এর ভ্রমণ বিষয়ক অঙ্গসংগঠন “দেখা হয় নাই” এর উদ্যোগে পহেলা নভেম্বর ২০২৪ তারিখে আনন্দ ভ্রমণের আয়োজন করা হয়। গ্রীন ভয়েস, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জনের মতো সবুজ বন্ধুগণ পাহাড়পুর, আলতাদিঘী ও মজিবুর রহমান স্মৃতি গ্রন্থাগার ঘুরে দেখেন।
এই ভ্রমণের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ ও প্রকৃতির প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি তরুণদের মধ্যে ভ্রমণের আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়াই ছিল মূল উদ্দেশ্য।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার। পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল দেব (৭৮১-৮২১) অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন। ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম এই বিশাল স্থাপনা আবিষ্কার করেন।খ্রিস্টীয় দশম শতকে বিহারের আচার্য ছিলে অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান। ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি প্রদান করে।
নওগাঁ জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান আলতাদিঘী বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী অংশে অবস্থিত একটি প্রাচীন জলাশয়। দিঘীটির আয়তন ৪৩ একর। এই জলাশয় দৈর্ঘ্যে ১১০০ মিটার এবং প্রস্থে ৫০০ মিটার।
গ্রীন ভয়েস এর সবুজ বন্ধুরা এরপর মুজিবুর রহমান স্মৃতি পাঠাগার পরিদর্শন করেন।
প্রত্যন্ত এলাকার একটি বাজারে গড়ে উঠেছে আধুনিক এই পাঠাগার। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পাঠাগারে টেবিল, শেলফ ও আলমারিতে থরে থরে সাজানো বই। চার হাজার বইয়ের পাশাপাশি পাঠাগারটিতে রয়েছে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরে শিক্ষার ব্যবস্থা। বইপ্রেমীরা এখন ভিড় জমাচ্ছেন এই পাঠাগারে। পাঠাগারটির উদ্যোক্তা গ্রীন ভয়েস এর প্রধান সমন্বয়ক ও স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর কবির। প্রায় ১ হাজার ২০০ বর্গফুট জায়গার ওপর গড়ে তুলেছেন এই পাঠাগার। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান টানা ১৭ বছর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১০ সালে তিনি মারা যান। বাবার নামেই পাঠাগারের নামকরণ করেছেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গ্রীন ভয়েস এর প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবির। এছাড়াও গ্রীন ভয়েস, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আশিকুর রহমান, আহসান হাবিব, মাহিন আলম, সিরাজুল ইসলাম, আবু সাহাদাৎ বাঁধন এবং রাজশাহী কলেজের আব্দুর রহিম, নাহিদ হাসান, রাবেয়া, রাইসুল উপস্থিত ছিলেন।